হত্যাকান্ডে জড়িত আরো দুই আসামী ‘গ্রেফতার’

# দৌলতপুরে রিক্সা চালক তাসিন হত্যাকান্ড #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা নগরীর দৌলতপুর এলাকার রিক্সা চালক মো. তাসিনুর রহমান হত্যাকান্ডে জড়িত আরো দুই আসামীকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে নগরীর দৌলতপুর থানাধীন মহেশ^রপাশা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী মহেশ^রপাশা কালিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. জাহিদ হাওলাদারের পুত্র সজিব হাওলাদার (১৬) এবং একই এলাকার বাসিন্দা মৃত: সালামের পুত্র সোহান শেখ (২৩)। এর আগে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে ইয়াসিন (২০) ও তামিম (১৯) নামের দুই আসামীকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। আসামী তামিম মহানগর মেট্রো পলিটন আদালত-৪’র বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেডের সম্মুখে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। স্বীকারোক্তীতে আসামী তামিম জানায় ইয়াসিনসহ আরো কয়েকজন এই হত্যাকান্ডে জড়িত। ওই স্বীকারোক্তীর ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে জড়িত আরো দুই আসামীকে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) গ্রেফতার করে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতে সোর্পদ করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী সজিব হাওলাদার কিশোর হওয়ার কারণে বিজ্ঞ আদালত তাকে যশোর জেলার পুলেরহাট সংশোধনগারে প্রেরণ করেন বলে নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর আতাহার আলী। এব্যাপারে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর আতাহার আলী জানান, খুলনা নগরীর দৌলতপুর এলাকার রিক্সা চালক মো. তাসিনুর রহমান হত্যাকান্ডে জড়িত আরো দুই আসামীকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে গ্রেফতার করি। আসামী তামিম ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে ইয়াসিনসহ আরো কয়েকজন এই হত্যাকান্ডে জড়িত বলে স্বীকার করে। ওই স্বীকারোক্তীর ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে জড়িত আরো দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আসামীদের আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে মহেশ্বরপাশা ঘোষপাড়া এলাকার একটি কবরস্থানের পূর্বপাশে ঝোঁপঝাড়ের মধ্যে হতে দৌলতপুর এলাকা থেকে মো. তাসিনুর রহমান (১৫) নামের এক রিক্সা চালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রিক্সা চালক দৌলতপুর থানাধীন শিকারীর মোড় এলাকার বাসিন্দা জনৈক মিজান জমাদ্দারের ছেলে। একই দিনে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পালপাড়া পল্লী তীর্থ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্বপাশের পতিত একটি জমি হতে ছিনতাই হওয়া ব্যাটারি চালিত রিক্সাটি (বৌ রিক্সা) উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই নিহতের মা হনুফা বেগম অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে নগরীর হরিণটানা থানাধীন নতুন জেলখানা এলাকা হতে এবং দৌলতপুর থানাধীন রেলিগেট রেললাইনের উপর হতে রেলিগেট পেট্রোল পাম্পের পিছনের এলাকার বাসিন্দা মো. শিমুলের পুত্র ইয়াসিন (২০) ও মানিকতলা এলাকার বাসিন্দা মো. রমজান গাজীর পুত্র তামিম (১৯) কে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। আসামী তামিম মহানগর মেট্রো পলিটন আদালত-৪’র বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেডের সম্মুখে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে হত্যার দায় স্বীকার করে। স্বীকারোক্তীতে আসামী তামিম জানিয়েছে ইয়াসিনসহ আরো কয়েকজন এই হত্যাকান্ডে জড়িত। অপরদিকে আসামী ইয়াসিনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে বিজ্ঞ আদালত। রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে পুনরায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে আসামী তামিমের আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীর স্বীকারোক্তীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে নগরীর দৌলতপুর থানাধীন মহেশ^রপাশা এলাকা হতে সজিব হাওলাদার (১৬) ও সোহান শেখ (২৩) নামের দুই আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতে সোর্পদ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী সজিব হাওলাদার কিশোর হওয়ার কারণে বিজ্ঞ আদালত তাকে যশোর জেলার পুলেরহাট সংশোধনগারে প্রেরণ করে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানিয়েছে।