স্থানীয় সংবাদ

খুলনায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর দৌরাত্ম থামছেনা

শেখ ফেরদৌস রহমান: নগর ও জেলা পর্যায়ে এক শ্রেণীর মানুষ এই চিকিৎসা সেবা নিয়ে করছে গলাকাটা বাণিজ্য। যেন কোন ভাবে এদের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছেনা। এসব প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে । এক প্রকার নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে চলছে এদের দৌরাত্ম কার্যক্রম । নগরীর অলিগলিতে কোন রকম বাসা বাড়ী ভাড়া নিয়ে বাহারী নামে চালিয়ে যাচ্ছে এই চিকিৎসা সেবার নামে গলাকাটা বাণিজ্য। পাশাপাশি নগরী ও জেলা শতকরা ৯০ শতাংশ এসব ব্যক্তিগত সেবাকেন্দ্র গুলোর নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন। নেই কোন ডিপ্লোমাধারী টেকনেশিয়ান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। ভুক্তভোগীরা বলছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর কার্যকর তদারকির অভাব। তবে অভিযোগ রয়েছে সরকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারিদের হাতে রেখে এসব প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে রোগীরা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করলেও সঠিক নির্ভুল রিপোর্ট হতে বঞ্চিত হচ্ছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে একই পরীক্ষা অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করতেই আসছে ভিন্ন ভিন্ন রিপোর্ট। এমনকি সরকারী হাসপাতালের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মচারিরাও এখন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সামনে কথা হয় ভুক্তভোগী রোগী স্বজন মোঃ আনোয়ারের সাথে তিনি বলেন, আমার দাদি গেল ১০ দিন যাবৎ খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। তবে যখন যে চিকিৎসক আসে একটি করে পরীক্ষা করতে বলেন। চিকিৎসক বলে যে আপনি সন্ধানী, বা প্রিন্স হাসপাতালে যান আমি লিখে দিচ্ছি ২৫% কম লাগবে। আর চিকিৎসক চলে গেলে। এমনকি কিছু চিকিৎসকের আশেপাশে চিহ্নিত কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মি থাকে। যারা বলে আসেন আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমার প্রশ্ন কেন এসব পরীক্ষা খুমেক হাসপাতালে করা হচ্ছেনা। আমি একা ভুক্তভোগী না আপনি সরকারী হাসপাতালে আসুন আর বর্তমান চিত্র দেখেন কি অবস্থা।
এ বিষয়ে সচেতন নাগরীক আলিম হোসেন বলেন, নগর ও জেলায় নতুন নতুন করে গড়ে উঠছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ।এদের রয়েছে মার্কেটিং পর্যায়ে নিয়োগ প্রাপ্ত দালাল। এসব দালালদের কাজ সরকারী হাসপাতাল গুলো থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে আনা। যে কারনে অধিকাংশ রোগী সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাশপাশি কতিপয় অসাধু চিকিৎসকদের অতিরিক্ত পরীক্ষার ফাদেঁ পড়ে অর্থ খুইয়ে দিশেহারা অসহায় গরীব রোগীরা। তবে এসব ব্যাঙের ছাতার মত অবৈধ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার গুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মনে করি।এবিষযে খুলনা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোহাম্মাদ কামাল হোসেন বলেন, আমাদের কাছে উপজেলা পর্যায়ে মোট ৮০ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে বা তার বেশি থাকতে পারে। আমরা তদারকি শুরু করেছি। স্থানীয় উপজেলা পর্যায়ে সকল ইউএইচএফপিওদের আগের থেকে নির্দেশনা দেয়া আছে। এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মনজুরুল মুরশিদ বলেন, আমরা ইতো মধ্যে একটি তালিকা তৈরি করেছি কোনটির নিবন্ধন আছে বা নেই।দ্রুত আমরা ব্যবস্থা নিব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button