ফুলতলায় অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ায় বন কর্মীকে তুলে নিয়ে মারপিট

# সাব্বির হোসেন রানার বিরুদ্ধে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার ঃ অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে মামলা করায় বন বিভাগের কর্মচারীকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে আটকে রেখে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ফুলতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী সাব্বির হোসেন রানাসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামী করে ফুলতলা থানায় মামলা হয়েছে। সাব্বির হোসেন রানা খুলনা জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন, বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হলে দল থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। বন বিভাগের কর্মচারী ইকবাল হোসেন কর্তৃক দায়েরকৃত এজাহার (নং-১০) এ জানা যায়, ফুলতলার বুড়িয়ারডাঙ্গা গ্রামের আঃ রাজ্জাক রাজার পুত্র সাব্বির হোসেন রানার মালিকানাধীন শিকিরহাট এলাকায় অবৈধ করাত কল রয়েছে। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় বন বিভাগের সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন ও বন কর্মীকে বিভিন্ন সময় হুমকী প্রদান করে আসছে। রোববার বেলা ১টায় ফুলতলা বাসষ্টান্ড মসজিদের সামনে সরকারি কাজে আসলে সাব্বির হোসেন রানা ও অজ্ঞাত আরও ৮/১০ আসামী মটরসাইকেলে আমার পথ রোধ করে তুলে নিয়ে বেজেরডাঙ্গা বাজারের আবু বক্কারের স’মিলের অফিস কক্ষে আটকে রাখে। সরকারি কাজে বাধা ও আটকে রাখার কারণ জানতে চাইলে আসামীরা এলোপাতাড়িভাবে কিল ঘুষি লাথি মেরে আমাকে মারাত্মক জখম করে। এ সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও তারা আমাকে আরও বেশি মারতে থাকে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা মামলা তুলে না নিলে খুন করে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমার মোবাইল ফোন পেয়ে রেঞ্জ অফিসার ইয়াকুব আলী ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করে আমাকে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনায় ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে সাব্বির হোসেন রানার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮/১০ আসামী করে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি স্বীকার করে ওসি মোহাম্মদ হানিফ বলেন, বন বিভাগের কর্মীকে আটকে রাখার ঘটনায় মামলা হলেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে আসামী সাব্বির হোসেন রানা মুঠোফোনে বলেন, বন বিভাগের কর্মী ইকবাল হোসেনের সাথে দেখা হলে তার সাথে স’মিলের মামলার বিষয়ে কথা হয়েছে।