থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিশেষ অভিযান শুরু

# খুলনায় মাদকের গডফাদার ১০ জন #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনায় মাদক সরবরহা কারবারীরা প্রতিনিয়ত কৌশল পাল্টে বিভিন্ন ধরনের মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। খুলনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী খুলনা মহানগরীতে মাদকের গডঢফাদার রয়েছে ১০ হন। থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশেষ অভিযানের উদ্যোগ নিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ( ৩১ ডিসেম্বর) থাার্ট ফাস্ট নাইট উপলক্ষে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিপ্তর কার্যালয়ে সকাল ১১টায় সাংবাদিকদের সাথে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় এ সব তথ্য তুলে ধরেন। খুলনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মিজানুর রহমান বলে, খুলনায় মাদকের গডফাদায় রয়েছে ১০ জন। তাদেরকে ধরতে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে বিশেষ অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। থার্টি ফাস্ট নাইটকে কেন্দ্র করে অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীরা যাতে মাদকের অপতৎপরতা চালাতে না পারে সে লক্ষ্য খুলনা জেলা ও বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের সমন্বয়ে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। এইদিনটি কেন্দ্রে করে অবৈধ বিষাক্ত মদ পান করে কোন প্রাণহানী বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি না ঘটে সে বিষয়ে পূর্ব সতর্কতামুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রাধীন চিহিৃত মাদক স্পষ্ট, হোটেল, রে¯েঁÍারাতে নজরদারী জোরদার করা হয়েছে, পারমিটধারী মদ্যপায়ী ( দেশি/বিদেশ) ব্যতীত অন্য কোন গ্রাহক যাতে মদ্য জাতীয় ক্রয়/সেবন করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে সর্তকতামুলক ব্যবস্থা গ্রহন এবং কোন প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপ না ঘটে সে বিষয়ে নজরদারী বৃদ্ধি করতে টহল টিম গঠন পূর্বক টহল ডিউটি জোরদার ও ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা হতে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অত্র কার্যালয়ের আওতাধীন সকল বার/ক্লাব-বার বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্ততরের জানায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২৭ ডিসেম্ব পর্যন্ত গত এক বছরে খুলনায় ১ হাজার ২৫০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে ৩১৮ জন আসামীর বিরুদ্ধে ৩০০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত উল্লেখযোগ্য মাদকের মধ্যে রয়েছে গাজা ১২৫ কেজি, ইয়াবা ৭ হাজার ৬৭৮ পিস, ফেনসিডিল ২০৫ বোতলসহ বিদেশী মদ, চোলাইমদ। এছাড়া গত দুইদিনে (২৮-৩০ ডিসেম্বর) বিশেষ অভিযানে ২০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ১০ জন আসামীর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ কেজি ১৫০ গ্রাম গাজাসহ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতি: পরিচালক মো: আহসানুর রহমান বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা বর্তমানে সু-কৌশলে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছেন। প্রতিনিয়ত তারা হাত-বদল করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা মাদক পাচার করছে। আমরা তাদেরকে ধরতে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক ( গোয়েন্দা) উফতেখার মোহাম্মদ উমায়ের বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসা পরিচালনা, মাদক প্রাপ্তির তথ্যদি। যার কারণে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে এবং তাদের শনাক্ত করতে বেশ বেগ পেতে হয়। জানা গেছে, বর্তমানে মাদকের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বিভিন্ন কৌশলে বিভিন্ন ধরনের মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে খুলনা মহানগরীতে ও উপজেলাগুলোতে। এর পেছন থেকে গডফাদাররা তাদেরকে সহযোগিতা করছেন।