মণিরামপুরে রাতে দস্যুতার ঘটনায় মামলায়

# দুই দস্যুর আদালতে জবানবন্দি #
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি ঃ বছরের শেষ দিনের আগের দিন ৩০ ডিসেম্বর রাতে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার সরকারী ডিগ্রী কলেজের মূল গেটের সামনে মোটর সাইকেলের আলো দিয়ে বাইসাইকেল আরোহী ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে ফেলে দিয়ে নগদ ৯৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় মণিরামপুর থানায় দস্যুতা আইনে মামলা হয়েছে। স্থানীয় জনগনের সহায়তায় সেলিম মোড়ল ও পুলিশের হাতে লিমন হোসেন গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, মণিরামপুর উপজেলার সুন্দ্রা গ্রামের ফজর আলী মোড়লের ছেলে সেলিম মোড়ল, সহযোগী একই উপজেলার টুনিয়াঘরা গ্রামের মুরাদ শেখ এর ছেলে লিমন হোসেন। গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে দস্যুতা আইনে মামলা করেছেন, মণিরামপুর উপজেলার ফতেয়াবাদ গ্রামের আরী বক্সের ছেলে তরিকুল ইসলাম। মামলায় গ্রেফতারকৃত ছাড়াও পলাতক আসামী হচ্ছে একই উপজেলার চালকিডাঙ্গা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহিমসহ অজ্ঞাতনামা ১জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, তার মণিরামপুর উপজেলার গ্যাংড়া গ্রামস্থ মণিরামপুর ডিগ্রী কলেজ মোড় সংলগ্ন রাস্তার পাশে সোনালী অয়েল সেন্টার নামক দোকান আছে। গত ৩০ ডিসেম্বর সোমবার রাত আনুমানিক ১০ টার সময় বাদির আপন বড় ভাই শফিকুল ইসলামকে উক্ত দোকান তালাবদ্ধ করার জন্য বলে বাদি দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা দোকানের বেচাকেনার সর্বমোট ৯৭ হাজার টাকা একটি শপিং ব্যাগে নিয়ে বাইসাইকেল যোগে বাদির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। একই তারিখ রাত ১০ টা ১০ মিনিটের সময় মণিরামপুর উপজেলার ফতেয়াবাদ গ্রামস্থ মণিরামপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের মুল গেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছালে বিপরীত দিক হতে ১টি মোটর সাইকেলের আলো বাদির চোখের দিকে ধরে রাখে। উক্ত আলোতে বাদি সামনের দিকের কিছু দেখতে না পেয়ে মোটর সাইকেলের সাথে ধাক্কা লেগে বাদি বাইসাইকেলসহ রাস্তায় পড়ে যায়। উক্ত আলোতে বাদি সামনের দিকে কিছু দেখতে না পেয়ে মোটর সাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগলে বাই সাইকেলসহ রাস্তায় পড়ে যায়। তখন অজ্ঞাতনামা একজন আসামী বাদির বাইসাইকেলে ব্যাগের মধ্যে থাকা নগদ ৯৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। বাদি ডাক চিৎকার দিলে আশপাশ হতে স্থানীয় লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে আসলে আসামীগন দ্রুত মোটর সাইকেল নিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন মোটর সাইকেলসহ আসামী সেলিম মোড়লকে আটক করে। তার সহযোগী ৩জন আসামী সুকৌশলে বাদির উক্ত টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তখন উত্তেজিত জনতা সেলিম মোড়লকে মারপিট করলে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে মনিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আটক আসামী ও তার কাছে থাকা মোটর সাইকেল হেফাজতে গ্রহন করেন। পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে উপরোক্ত সহযোগী আসামীদের নাম প্রকাশ করে। পুলিশ মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর ভোর রাত সাড়ে ৪ টার সময় মণিরামপুর থানাধীন টুনিয়াঘরা গ্রামস্থ লিমন হোসেনের বাড়ি হতে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করলে তারা স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছেন।