স্থানীয় সংবাদ

মশিউর রহমান ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন

# জুয়েল-আলম পরিষদের নিরস্কুশ বিজয় #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ উৎসব মুখর পরিবেশে ও শান্তিপূর্ণভাবে নগরীর মশিউর রহমান বিপনী কেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবার ২৫০ জন ভোটারের মধ্যে সকলেই ভোট প্রদান করেন । পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলহাজ্ব মোঃ মিরাজ হোসাইন জানান, এবার দু’টি প্যানেলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল দু’টি হলো, জুয়েল-আলম পরিষদ ও এনাম-মোশাররফ পরিষদ। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এবারের নির্বাচনে জুয়েল-আলম পরিষদের নিরস্কুশ বিজয় হয়েছে। একটি পদ ছাড়া বাকী ১৮টি পদেই তারা জয়ী হয়েছেন। সভাপতি পদে জুয়েল-আলম পরিষদের সভাপতি প্রার্থী শেখ মোঃ জুয়েল ছাতা প্রতিকে ১৪১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি এনাম-মোশাররফ পরিষদের সভাপতি প্রার্থী কাজী এনামুল ইসলাম পান ১০৬ ভোট। সাঃ সম্পাদক পদে জুয়েল-আলম পরিষদের সাঃ সম্পাদক প্রার্থী মোঃ সাইফুল ইসলাম আলম আনারস প্রতিকে ১৪৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি এনাম-মোশাররফ পরিষদের সাঃ সম্পাদক প্রার্থী মোঃ মোবারক হোসেন পান ১০৬ ভোট। সহ-সভাপতি পদে জুয়েল-আলম পরিষদের শেখ মোঃ মোস্তফা খোকন ১৩৫ ভোট ও মোঃ বাতেন ভূইয়া মিন্টু ১২৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সরদার জাকির হোসেন পান ১০৮ ভোট ও সালাউদ্দীন পান ১১০ ভোট। সহ-সাঃ সম্পাদক পদে জুয়েল-আলম পরিষদের মোঃ আলী আকরাম অপু ১৩৭ ভোট ও শেখ মোঃ মামুন ১৩২ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী তাইজুল ইসলাম হৃদয় পান ১০৭ ভোট ও আতাউর রহমান পান ১০৬ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে মোঃ আসাদুজ্জামান লিটন ১৪৩ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জালাল কাজী পান ৯৯ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ সবুজ জমাদ্দার ১৪৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আহসান হাবিব পান ৯৮ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে মোঃ মাসুদ রানা ১৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ওবায়দুল্লাহ পান ১০২ ভোট। প্রচার সম্পাদক পদে মোঃ মোক্তার হোসেন ১৩২ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রাজু খান পান ১১০ ভোট। ৯টি নির্বাহী সদস্য পদের মধ্যে একটি ছাড়া বাকী ৮টি পদে জুয়েল-আলম পরিষদের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। তারা হলেন, শামীউল ইসলাম শাম্মী, শরিফুল ইসলাম আকাশ, কবির আহম্মেদ, নাজমুল হাসান সৌরভ, মোঃ রিপন শেখ, মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, মোঃ আবুল কালাম, সরোয়ার আহম্মেদ, অপর পরিষদের মোঃ আব্দুল্লাহ শেখ। নির্বাচন কমিশনার বলেন, সভাপতি পতে তিনটি ভোট নস্ট হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দু’জন উপদেষ্টা ছিলেন আলহাজ্ব শারাফাত হোসেন ও মোঃ আব্দুল্লাহ। ১৯টি পদের বিপরিতে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচন কমিশনের অন্য দু’ সদস্য হলেন আলহাজ্ব শেখ রেজাউল কবির ও আলহাজ্ব মোঃ তৈয়াবুর রহমান। এবার ত্রি বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে গত নির্বাচন ছিল দ্বি বার্ষিক। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button