বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হস্তক্ষেপে বিসিডিএস’র সভা-সমাবেশ বন্ধ
খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হস্তক্ষেপে খুলনার বিসিডিএস এর সকল সভা-সমাবেশ বন্ধ রাখার আহবান জানানো হয়েছে। শনিবার (১১জানুয়ারী) সংগঠনটির সাধারণ সভায় এ আহবান জানানো হয়। গত ৫ আগষ্ট এর পর খুলনা বিসিডিএস এর কার্যালয় নিয়ন্ত্রন নেওয়ার চেষ্টা করছে কয়েকটি গ্রুপ। এতে ব্যহত হচ্ছে দাপ্তরিক কার্যক্রম। চরম ভোগান্তিতে সাধারন ব্যবসায়ীরা। ওষুধ ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রকৃত ব্যবসায়ীদের দিয়েই পরিচালিত হতো। ২০১৪ সালে সমিতির সভাপতি হন মোজাম্মেল হক ও সিনিয়র সহ-সভাপতি হন কবির উদ্দিন বাবলু। এরপরেই সংগঠনটিতে রাজনীতিকরণ শুরু হয়। ২০২৪ সাল পর্যন্ত তারাই সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সরকারি হাসপাতালের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, ওষুধ কোম্পানির কাছে চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পুরাতন কমিটি ভেঙে দিয়ে মনিরুজ্জামান খান বাবুকে সভাপতি এবং তাপস সরকার শিবকে সিনিয়র সহ-সভাপতি করে নতুন কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় বিসিডিএস। এই কমিটি গঠনের নেপথ্যে ছিলেন সাবেক এমপি শেখ জুয়েল। কমিটির অধিকাংশই আওয়ামী লীগের অনুসারী ব্যবসায়ী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্তমান সংকট উত্তরণে সব কমিটি ভেঙে দিয়ে দ্রুত নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। তার আগে পতিত সরকারের সহযোগীরা যেন সংগঠনে ফিরতে না পারে সেজন্য স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। গত ১৬ বছরে লুটপাট করে জমানো অর্থ বিনিয়োগ করে ইতোমধ্যে তারা কিছু ব্যবসায়ীকে হাত করে নিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে এই অবৈধ অর্থ বিনিয়োগ করলে সাধারণ ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়বেন বলে অভিযোগ তাদের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাইফ নেওয়াজ বলেন , বিসিডিএস হলো ব্যবসায়ীদের সংগঠন। বিভিন্ন পক্ষ আমাদের কাছে অনিয়মের অভিযোগ করে। আমরা কোন পক্ষের না। প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে অতি দ্রুত সময়ে বিষয়টি সমাধান করা হবে। এসময় তিনি সকল প্রকার সভা-সমাবেশ বন্ধ রাখার আহ্বান জানান।