খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে আউটসোর্সিং কর্মিদের মাঝে আতংক

# মামলার জটিলতায় বেতন নিয়ে ধু¤্রজাল

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে আউটসোর্সিং কর্মচারিদের আতংক কাটেছেনা। এর আগে গতকাল সকালে ৬ মাসের কাজের বেতন একই সাথে পেলেও চলতি জানুয়ারি হতে কাজের কেতন পাবে কিনা জানেনা। এর আগে গেল ১৯ নভেম্বর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদে ৮৮ জন আউটসোর্সিং কর্মচারীদের নিয়োগ এর জন্য একটি দরপত্র আহবান করেন। তবে হঠাৎ করে একটি মহল আদালতে রিট এর মাধ্যমে দরপত্র আহবান কার্যক্রম বন্ধ করে রাখে। এই প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এতে করে নতুন বছর জানুয়ারী হতে যেসসব আউটসোর্সিং কর্মচারী বেতনে কাজ করছেন তারা বেতন পাবেন কি পাবে না বলতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ। এর আগে গেল জুলাই মাস হতে ৬৩ জন আউট সোর্সিং কর্মচারীদের কাজ বন্ধ করে স্বাস্থ্য বিভাগের হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস। এ দিকে পূর্বের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি ফোর এস এর পরিচালক মোঃ গিয়াসউদ্দিন বলছে মামলা করেছে কে বা কারা আমি বিষয়টি জানিনা। তবে এসব আউটসোর্সিং কর্মচারীরা যদি কাজ বন্ধ রাখে তাহলে হাসপাতাল সেবার কার্যক্রমে বেহাল অবস্থা হবে। তবে এখনও চেষ্টা চলছে কাজ চলমান থাকলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের কাজের পারিশ্রমিক দিবে। ঠিকাদারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের লিখিত চুক্তি ছাড়া মৌখিক এমন আশায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে অসহায় কর্মচারীরা। নাম না প্রকাশ শর্তে এক কর্মচারী বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ আমাদের কষ্টের বেতনের টাকা উঠিয়ে স্থানীয় আওয়ামলীগ নেতারা আত্মসাৎ করত। এসব নেতারা প্রতিমাসে আমাদের বেতনের থেকে ৪৬০০ টাকা নিত এর আগে নিত ৮ আজার টাকা একজনের কাছ থেকে প্রতিমাসে। তবে সরকার পরিবর্তনের পর সব কিছু থমকে গেছে এখন সব বেতনই ব্যাংকের মাধ্যমে পাচ্ছি। তবে চলতি মাসের থেকে আমরা যে কাজ করছি এর বেতন পাবো কিনা বলতে পারছিনা। এমনকি মৌখিক ভাবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও পরিচালক কাজ চালিয়ে যেতে বলেছে। একটা ব্যবস্থা হবে এমন আশায়। এ বিষয়ে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালেন পচিালক ডাঃ শেখ আবু শাহীন বলেন, আমরা নিয়মিত বেতনের জন্য দরপত্র আহবান করেছিলাম তবে, একটি অনাকাঙ্খিত আদালতের রিট এর কারণে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আমাদের সংশ্লিষ্ট আইন শাখায় চিঠি পাঠিয়েছি। এখনও কোন উত্তর আসেনি। এখন যারা কাজ করছে তাদের বেতন দিতে পারাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ তবে, আমরা ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন পরিশোধ করে দিয়েছি। এখন চলতি বছরের বেতন নিয়ে রয়েছে ধ¤্রজাল। মূলতঃ সরকারীভাবে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে উন্নত মানের চিকিৎসা দেয়া হয়। হাসপাতালটিতে রয়েছে অর্থপেডিক্স, কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, ইউরোলজি, নেফ্রলজি, ডায়াবেটিস, কিডনি, দন্ত, লিভার, নিউরোমেডিসিন, বার্ন এন্ড প্লাস্টিক ইউনিট, ফিজিওথেরাপি, ভাস্কুলার সার্জারি কক্ষ রয়েছে। এসব আউটডোর বিভাগে প্রতিদিন হাজারের মত রোগী সেবা নিতে আসে তবে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও জনবল অভাবে প্রতিদিন বিশৃঙ্খলা ও রোগীদের ভিড় বাড়ছে। আর এসব সেবা প্রত্যাশিত হাজারও রোগীদের সেবা দিচ্ছে মোট ৮৮ জন আউটসোসিং কর্মচারীরা।