যশোরে ৫লাখ টাকার জন্য দুই সন্তানের জননীকে নির্যাতন ও মারপিটের অভিযোগে মামলা

যশোর ব্যুরো ঃ
যৌতুকের ৫লাখ টাকার জন্য গৃহবধূ মাফিদা আক্তার (৩৬)কে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট,কিল,ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গত শনিবার দিবাগত গভীর রাতে মামলাটি করেন, যশোর শহরের নিউ বেজপাড়া,৭নং পিয়ারী মোহন রোডের মৃত নজির শেখ এর মেয়ে ও মনিরুজ্জামান মনির স্ত্রী দুই সন্তানের জননী মফিদা আক্তার। মামলায় আসামী করেন,যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামের মৃত কেরামত আলী সরদারের ছেলে মনিরুজ্জামান মনি।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,গত ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারী বাদির সাথে মনিরুজ্জামান মনির বিয়ে হয়। বিয়ের পর ঘর সংসার করাকালে আসামীর ঔরষে বাদিনীর গর্ভে একটি মেয়ে সন্তান ও পরে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করেন। বাদিনী একজন সরকারী চাকুরীজীবী হওয়ায় আসামী বাদিনীর নিকট হতে ইতিপূর্বে যৌতুক হিসেবে ৫লাখ টাকা ও ৪লাখ টাকা জোর পূর্বক নেয়। দুই সন্তান জন্ম গ্রহন করার পর থেকে আসামী বাদিনীর নিকট ৫লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে হর হামেশা আসামী বাদিনীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। বাদিনী আসামীর শত নির্যাতন সহ্য করে অতি কষ্টে সন্তান ২টি ভবিষৎতের কথা চিন্তা করে সংসার করতে থাকে। আসামী বাদির বাড়ি হতে যৌতুক বাবদ ৫লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য বাদিনীর উপর চাপ সৃষ্টি করলে বাদিনী স্থানীয় লোকজনদের সংবাদ দিলে স্থানীয় লোকজন বাদিনীর বাড়িতে ঘটনার ১ ঘন্টা আগে আসে। স্থানীয় লোকজন যৌতুক ছাড়াই বাদিনীকে নিয়ে ঘর সংসার করার জন্য অনুরোধ করতে থাকা অবস্থায় যৌতুক বিষয় নিয়ে বাদিনীর সাথে আসামীর কথা কাটাকাটির এক পর্যায় আসামী ক্ষিপ্ত হয়ে ৫লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে গত ৭ জানুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় আসামী দুই হাত দিয়ে বাদিনীর গলা চেপে ধরে শ^াসরোধ করে হত্যা করার চেষ্টা করে ও বাদিনীর মুখের বাম চোয়ালে ঘুষি মেরে জখম করে এবং আসামীর উঠানে থাকা কাঠের চলা দিয়ে বাদিনীর ডান হাতে কবজিতে,বাম হাতের পাতায় ও কবজিতে আঘাত করে ছোলা,ফোলা কালশিরা জখশ করে। বাদিনীর আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে আসামীর কাছ থেকে বাদিনীকে উদ্ধার করে। বাদিনীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় বাদিনীকে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। গত ১০ জানুয়ারী থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিলে বাদিনী আদালতের স্মরনাপন্ন হয়ে মামলা করেন।