স্থানীয় সংবাদ

মণিরামপুরে ট্রাক ও ভ্যানের সংঘর্ষে ২জন নিহত

# মা ও শিশু আহত #

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি ঃ মণিরামপুরে মালবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী ভ্যানের সংঘর্ষে ২জন নিহত এবং মা ও শিশু সন্তান গুরুত্বর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে যশোর-চুকনগর মহসড়কে ঘটে। এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক মণিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ফেদাইপুর গ্রামের মোসলেম কবিরাজ(৫৫) মারা যান। আর ভ্যানের যাত্রী উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খামারবাড়ী এলাকার ছিট কাপড় ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম খানের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী রুপা খাতুন(৪২)কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যান। ভ্যানের অপর যাত্রী নিহত রুপার বোন নড়াইল জেলার জহির হোসেনের স্ত্রী মিম খাতুন(২২) ও তার শিশু কন্যা গুরুত্বর আহত হন। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসা কল্পে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে হাসপাতালের সামনে ইঞ্জিনচালিত একটি যাত্রীবাহী ভ্যানগাড়ী রাস্তা পারাপারের সময় যশোরগামী একটি মালবাহী ট্রাক যাত্রীবাহী ওই ভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে চাপা দেয়। এ দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক নিহত হয়। আহত শিশুসহ তিন জনকে মণিরামপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজন মারা যান।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফউদ্দিন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত মা ও শিশুকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

 

বাগেরহাটে গাজী কালুর দরগাহ ও মসজিদের
সম্পত্তি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাট শহরের প্রান কেন্দ্র বনিকপট্রিতে অবস্থানরত শত বছরের গাজী কালু সাহেবের দরগাহ ও মসজিদের সরকারী খাস খতিয়ানের সম্পত্তি জালিয়াতি করে ব্যাক্তি মালিকানায় রেকর্ড করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমাবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন গাজীর কালুর দরগাহর খাদেম ও ভক্তরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন
দরগাহ’র খাদেম জামাল হাওলাদার। এসময় দরগাহ ভক্ত মহারাজ, বিপুল ও বেল্লালসহ অন্যান্য ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাগেরহাট শহরের বনিক পট্রিতে অবস্থানরত গাজী কালুর দরগাহর একজন খাদেম হিসাবে দরগাহটি দেখাশুনা করে আসছি। এর আগে আমার পিতা এ দরগাহ’র খাদেম ছিলেন। গাজীর দরগাহর সম্পত্তির মালিক সরকার যা খাস খতিয়ান ভুক্ত। অথচ সরকারী এ সম্পত্তির কিছু অংশ সবার অজান্তে অনৈতিকভাবে বাগেরহাট শহরের একটি ভুমি জালিয়াত চক্র নানা ষড়যন্ত্র করে ব্যাক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে নিয়েছে বলে জানতে পারি। এ অবস্থায় দরগাহ’র খাদেম হিসাবে আমি এ সম্পত্তির কাগজপত্র খোঁজ করে দেখি বাগেরহাট পৌরসভাধিন জেএল -১৫৬ হাল ১৫২ নং সরুই মৌজার সি.এস ৭৯৭ এবং এস,এ ৭০১ নং খতিয়ানের রেকর্ডিয় মালিক ছিল পুর্নচরন দিং। তৎকালীন সময়ে তিনি এ সম্পত্তি রেখে ভারতে চলে যান। ফলে উক্ত সম্পত্তি সরকারের খাস খতিয়ানে অন্তরভুক্ত হয়। যার রেকর্ড পত্র অনুযায়ী দাগ নং- ১০০৮, বাস্তবাড়ী এবং গাজী সাহেবের দরগাহ হিসাবে ব্যবহ্নত হয়। রেকর্ড অনুযায়ী গাজীর দরগাহ’র পথ, গাজী সাহেবের মসজিদ, খাদেমের ঘর, খানকা ঘর রয়েছে। যার বর্তমান রেকর্ড বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক এবং দখল স্বত্তে দেখাশুনার ভার ছিল আমার পিতা খাদেম ইউসুফ আলীর। সরকারী খাস খতিয়ানভুক্ত গাজী কালুর দরগাহ ও মসজিদের দখলীয় সম্পক্তি থেকে জমি জালিয়াত চক্রের হোতা ভুমি বিষয়ের আইনজীবি মরহুম এনামুল হক ও উত্তম কুমার গোঁপনে সেটেলমেন্ট অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মচারী আনোয়ারসহ ঘুষখোরদের ম্যানেজ করে কিছু জমি ব্যাক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে নেয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসক কে জানালে তিনি সদর ইউএনও কে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। কিন্তু জালিয়াত চক্রের চক্রান্তে আইনের যথাযত প্রয়োগ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় খাস খতিয়ানের এ সম্পত্তি উদ্ধার হয় নি। ভুমি সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অসাধু ব্যাক্তিদের অনৈতিকভাবে ম্যানেজ করে সরকারী খাস খতিয়ানের সম্পত্তি ব্যাক্তি মালিকানায় রেকর্ড করার বিষয়টি জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলেও কোন সুফল পাওয়া যায় নাই। এ বিষয় নিয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশন, ভুমি অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পরে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমুহ থেকে জানতে পারি। ভুমি জালিয়াত এ চক্রকে প্রশাসনিক জায়গা থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন বাগেরহাট সদর উপজেলার বানিয়াগাতি এলাকার অজিয়ার রহমান নামের একজন সচিব। ফলে এ বিষয়ে কোন সুরাহা হয়নি। এখন দেশে কোন রাজনৈতিক সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় নাই। তাই বিগত সময়ে বাগেরহাট জেলা শহরের বনিকপট্রির গাজী কালুর দরগাহসহ সরকারী খাস খতিয়ানের বিভিন্ন দাগের অনেক সম্পত্তি বাগেরহাট ও খুলনা সেটেলমেন্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে এবং ভুমি সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট অফিসের সহযোগিতায় ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রেকর্ড করানো হয়েছে। তাই সরকারী খাস খতিয়ানের বে-দখল সম্পত্তিসহ শত বছরের গাজী কালুর দরগাহ’র সরকারী খাস সম্পত্তি যাতে ভুমি দস্যুদের কাছ থেকে উদ্ধার করতে পারি সে বিষয়ে সংবাদ কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে এ সংবাদ সম্মেলন করা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button