স্থানীয় সংবাদ

খুলনায় ৯০ শতাংশ কমেছে সাফ-কবলা দলিল রেজিস্ট্রি সম্পাদন

অলস সময় পার করছেন কর্মকর্তারা

শেখ ফেরদৌস রহমান: খুলনা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৯০ শতাংশ কমেছে সাফ-কবলা দলিল রেজিস্ট্রি। গেল বছর ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তন ও সাম্প্রতিক জানুয়ারী মাসে মৌজা ভিত্তিতে রেজিস্ট্রি ফি বৃদ্ধি করায় জমি ক্রয় বিক্রয় উপর এমন প্রভাব পড়েছে বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অধিকাংশ সময়ে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অলস সময় পার করছেন কেউ খবরের কাগজ বা মোবাইল দেখে বা অফিস সময়ে অন্যান্য জায়গায় ঘুরে সময় পার করছেন। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ও দলিল লেখকরা। এতে করে একদিকে সরকারের কমেছে রাজস্ব অন্য দিকে ল্যান্ড প্রপারটি ব্যবসসায়িরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। এছাড়া সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার জন্য জমি কেনাবেচা করলেও অতিরিক্ত দলিল খরচের কারণে সাফকবলা দলিল করছেন না। হেবা, ঘোষণা, পাওয়ার, ব্যাংক মর্টগেজ, হেবাবিল এওয়াজ ও আমমোক্তার দলিল করছেন। এ বিষয়ে কথা হয় খুলনা দলিল লেখক মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের সাথে তিনি বলেন, ভাই আগে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭টি দলিল সম্পাদন করতাম। কাজের চাপে মাথা নষ্ট থাকত এখন সপ্তাহেও একটি সাফ কবলা দলিল সম্পাদন হচ্ছেনা। একদিকে আমাদের উপার্জন কমেছে অন্য দিকে দলিল টাইপ করে কম্পিউটার দোকানেও নেই কোন ভোক্তা। এছাড়া যাদের কাছে অর্থ আছে তারাও এখন নতুন ভাবে কোন জমি ক্রয় করছেনা। একই কথা বলেন, খালিশপুর জমি ক্রয়-বিক্রয় প্রতিষ্ঠান আলী আব্বাস প্রোপার্টি পরিচালক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানের সাথে তিনি বলেন, গেল দেড় বছর যাবৎ জমি বিক্রি হচ্ছেনা। বিশেষ করে গেল ছয় মাসে একটি জমি বিক্রি করতে পারেনি। এছাড়া অধিকাংশ ক্রেতা এখন দশ জন বা তার অধিক মিলে একটি জমি ক্রয় করে বহুতল ভবণ নির্মাণ করছে। পরবর্তিতে লটারির মাধ্যমে তারা ফ্লাট ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। এতে করে ডেভেলপারদের ব্যবসা জমে উঠছে। আর ক্রেতারা ঝুকঁছে এই বহুতল ভবনের তৈরির দিকে। একই কথা বলেন, খুলনা সাব- রেজিস্ট্রি অফিসের পেশকার মোঃ ফারুক হোনে তিনি বলেন, সাফ-কবলা দলিল রেজিস্ট্রি নেই কোন দিন একটা বা তিনটার বেশি হচ্ছেনা আবার এমনও দিন আছে যে একটি সাফ কবলা দলিল ও সম্পাদন হচ্ছেনা। আগে যেখানে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০টি পর্যন্ত সাফ কবলা দলিল সম্পাদন হতো অতিরিক্ত কাজের চাপ ছিল এখন কোন মানুষ নেই। তবে, দলিল নকল উঠানো কাজ আছে। বিশেষ করে এই জানুয়ারী মাসে সাফ কবলা দলিল সম্পাদন সংখ্যা আগের তুলনায় ৯০ শতাংশ কমেছে। একই কথা বলেন, বটিয়াঘাটা পেশকার শ্যামল সরকার তিনি বলেন, এখন সাফ কবলা দলিল করছেনা। আগে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি পর্যন্ত সাফ কবলা দলিল সম্পাদন করতাম এখন ১০টিও সাফ কবলা দলিল রেজিস্ট্রি সম্পাদন হয়না। শুধু আমাদের বটিয়াঘাটা উপজেলা রেজিস্ট্রি অফিসে অবস্থা কমেছে দলিল রেজিস্ট্রি কম হচ্ছে এটা ঠিকনা আমাদের অন্যান্য সহকর্মিরা একই কথা বলছেন। কোন সাফ কবলা দলিল রেজিস্ট্রি হচ্ছেনা। এ বিষয়ে খুলনা সাব- রেজিস্ট্রিার তন্ময় মন্ডল বলেন, মৌজা খরচ বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সাফ-কবলা দলিল রেজিস্ট্রি সম্পাদন কমেছে এটা সঠিক কথা না। আমি গেল আগস্ট মাসে যোগদান করার পর দেখছি যে কবলা দলিল সংখ্যা কম। এছাড়া আমরা মৌজা খরচ বৃদ্ধি করিনা এর জন্য অডিট আছে। আর অডিট কর্মকর্তরা মৌজা খরচ নির্ধারণ করে। এছাড়া দেশের পট পরিবর্তণের কারণে এমনটি হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button