খুলনার বিএল কলেজে শেখ মুজিবের ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দিলো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা

স্টাফ রিপোর্টার : গণঅভ্যূত্থানে পতনের পর পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার অনলাইনে ভাষণের ঘোষণা দেয়ার প্রতিবাদে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগ বিরোধী স্লোগান দিয়ে কলংকিত খুলনার কথিত শেখ বাড়িতে ভাঙচুর শুরু করে, আগুনও ধরিয়ে দেয় ছাত্র-জনতা। খুলনার শেখ বাড়ি ও ঢাকার ধানমন্ডী ৩২নং বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে ছাত্রজনতা। খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা কথিত শেখ বাড়ি ভাঙচুরের জন্য ‘বুলডোজার মিছিলের’ ডাক দেয় তারা। খুলনায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হল কলংকিত ‘শেখ বাড়ি’। একই ভাবে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২ টার দিকে খুলনা নগরীর দৌলতপুরস্থ সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের খেলার মাঠের পাশে শেখ মুজিবের ম্যুরালও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুরের সময় ছাত্র-জনতার শ্লোগানে, শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বিএল কলেজের ক্যাম্পাস। তারা শ্লোগান দিতে থাকে ‘আমার সোনার বাংলায় মুজিববাদের ঠাঁই নাই, জ্বালো-জ্বালো আগুন জ্বালো, আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, মুজিববাদের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, ‘স্বৈরাচারের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাওসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।। এসময় ছাত্র-জনতাকে আরো বলতে শোনা গেছে, খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের এদেশে থাকার কোন অধিকার নেই। তারা নিরিহ ছাত্র জনতাকে গুলি করে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলার মাটিতে এনে খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবি জানান তারা। মো. রাকিব হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, দেশে ফ্যাসিবাদীদের যা কিছু আছে সব ভেঙে দেওয়া উচিত। যাতে পরবর্তীতে কেউ ফ্যাসিবাদী আচার-আচরণ করতে ভয় পায়। তাই সারাদেশের মতো খুলনার বিএল কলেজেও আজ দুপুরে শেখ মুজিবের ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সরকারি ব্রজলাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সেখ মো. হুমায়ুন কবীর জানান, কলেজ ক্যাম্পাসে শেখ মুজিবের ম্যুারালটি ছাত্র-জনতা কর্তৃক ভাঙচুরের বিষয়টি আমি অবগত আছি।