ছুটির দিনে জমেছে খুলনার একুশে বই মেলা

# জুলাই আগস্ট স্মৃতি বিজড়িত বই বিক্রির শীর্ষে
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনার প্রাণের মেলা একুশে বই মেলা ছুটির দিনে জমে উঠছে। কবি লেখক আর সাহিত্যিকদের যেন মিলন মেলায় পরিণহ হয়। তবে এবার বিখ্যাত লেখক হুমায়ুন আহমেদ ও জাফর ইকবালের লেখা বইকে পিছনে ফেলেছে জুলাই-আগস্ট স্মৃতি নিয়ে লেখা বই-এর কাটতি। মেলাকে আরো সমৃদ্ধ করেছে জুলাই-আগস্ট স্মৃতি বিজড়িত কর্ণার। বাক আবৃতি অনুশীলন চক্রের স্টল প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ শ্রাবন বলেন, তার স্টলে জুলাই-আগস্ট স্মৃতি বিজড়িত বই বেশী বেশী বিক্রি হচ্ছে। বিগত দিনের মেলায় বিখ্যাত লেখক হুমায়ুন আহমেদ আর জাফর ইকবালের বই খুবই কাটতি ছিল। এব¦ার তাদেরকে ছাড়িয়ে গেছে জুলাই-আগস্ট নিয়ে লেখা বই বিক্রিতে। তার স্টলে বেশী বিক্রি হচ্ছে শেখ হাসিনার পতনকালে, ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুথান ও সংবিধান সংশোধন। ২৫% ছাড় মুল্যে তিনি বই বিক্রি করছেন। মেলা শুরু থেকে তার বিক্রি ভাল বলে তিনি মন্তব্য করেন। আলফা বুক হাউজ স্টলের প্রতিনিধি মনোজ কুমার দে বলেন, দীর্ঘ দিন তিনি একই জায়গায় স্টল দিয়ে আসছেন। তবে এবার লটারি করার কারণে অন্যস্থানে স্টল পেয়েছেন। এতে তার কোন কস্ট নেই। লটারি পদ্ধতিতে তিনি ভেজায় খুশি বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, হুমায়ুন আহমেদের বই বিগত বছরের মত এবার আর চলছে না। ভারতীয় মুসলিম শাসকদের সহিষ্ণুতা ও উদারতা বইটি ভাল বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান। অন্যান্য স্টলের চেয়ে তার স্টলে বেচাবিক্রি ভাল হচ্ছে বলে তিনি জানান। এদিকে মেলা কর্তৃপক্ষ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলেন, শুক্রবার অতিক্রান্ত হলো একুশে বইমেলা খুলনার ৭ম দিন । সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মেলা প্রাঙ্গণে ক্রেতা দর্শকদের ঢল নেমেছিল। বইয়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়াভিড় লক্ষ করা যায়। বিকালে বইমেলার মঞ্চের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শুরু হয় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা’র ছাত্রীদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। মেলা মঞ্চের সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক আয়োজনে ছিল‘ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী, ফুলতলা’, এবং ‘ হাতেখড়ি বাচনিক আলয় ’ এর শিল্পীদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শেখ মো: ইমরান সাইদ। বিভাগীয় গণ গ্রন্থগারের উপ পরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, বিগত দিনের চেয়ে ছুটির দিয়ে মেলায় ব্যাপক দর্শক সমাগম হয়েছে। জুলাই-আগস্ট নিয়ে লেখা বই বেশী বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।