বিচার চাই না নিরাপত্তার সাথে বাঁচতে চাই

মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাটের মোল্লাহাটে মক্তবে বসা নিয়ে বিবাদের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে ।
এতে নারী ও শিশু সহ ৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুন:হামলার ভয়ে বিচার চায় না ভুক্তভোগী পরিবার, নিরাপত্তার সাথে বসবাস করতে চায়।
ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করে জানান, ছোট্ট শিশু আয়তুল্লাহ(১০) মক্তবে কোরআন শিক্ষা করেন, মক্তবে বসা নিয়ে একই এলাকার দুখু শেখের কন্যা যমুনা-(১০) এর সহিত তার ঝগড়া হয়। ঝগড়া ঝাটির একপর্যায়ে মসজিদের ইমাম সাহেব দুজনকে শান্ত করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনার ২ দিন পর ২ ফেব্রুয়ারি সকালে আয়াতুল্লাহ মক্তব থেকে বাড়ি ফেরার পথে যমুনার পিতা দুখু শেখ তাকে ডেকে তার দুই গালে থাপ্পড় মারে ও গালিগালাজ করে, এর পর কোনদিন তার মেয়ের সাথে ঝগড়া করলে প্রান নাশের হুমকি দেয়। আয়াতুল্লাহ বাড়ি ফেরার পর তার মা আয়েশা বেগম আয়াতুল্লাহর চোখের পানি ও মুখে দাগ দেখে জিজ্ঞাসা করলে আয়াতুল ঘটনা খুলে বলে, এরপর থেকে আয়তুল্লা কানে কম শুনছে বলে জানান আয়তুল্লাহ’র মা আয়েশা বেগম। বাড়িতে কোন পুরুষ লোক না থাকায় আয়তুল্লাহ’র মা আয়েশা তার সন্তানকে নিয়ে দুঃখু শেখের বাড়িতে গিয়ে বিচার চেয়ে অভিযোগ করতে গেলে যমুনার পরিবারের সাথে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের হুমকির মুখে আয়শা বাড়ি ফিরে আসে। এর পর সন্ধ্যা ৭ টায় সাজ্জাদ শেখ, বনি শেখ, শেরেকুল শেখ, বাচ্চু শেখ, সাজিদ শেখ, বিপুল শেখ, দুখু শেখ, তরিক শেখ, মাহিন শেখ সহ ২০-৩০ অজ্ঞাত লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শামীম মোল্লার বাড়িতে হামলা করে। আনোয়ারা বেগম (৪৫), সীমা বেগম (২৪) আয়সা বেগম(৩০) ও আয়তুল্লাহ মোল্লাকে(১১) ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে বাড়ির উঠানে ফেলে বেধড়ক মারপিট করে এবং তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে মুক্তিযোদ্ধা ঘরের থাই গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে। এসময়ে তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন হামলার শিকার সীমা বেগম। এবিষয়ে অভিযুক্ত দুখু শেখ জানায়, মক্তবের ঘটনায় আয়াতুলের মা বাজার ভরে নালিশ ও গালিগালাজ করছিল, তাদের নিষেধ করলে এই ঘটনার সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত দুখু শেখ জানান, ঘটনার সময় আমি মোল্লাহাট থানায় ছিলাম, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে মহিলারা মহিলারা মারামারি করছে বলে তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।