ফুল ফুটুক আই নাই ফুটুক আজ বসন্ত

শাহরিয়ার রাব্বী ঃ বিদায় নিলো শীত। আজ পহেলা ফাল্গুন। ষড়ঋতুর দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। এই ৬টি ঋতুর মধ্যে বসন্ত ঋতুতে সেজে উঠেছে বাংলার প্রকৃতি। বসন্ত ঋতুতে কোকিলের কুহু-কুহু শব্দে যেন প্রকৃতি মুখরিত হয়ে যায়। প্রকৃতি যেন মনে হয় বর্ণীল সাজে সেজে হাতছানি দিচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার পথে-প্রান্তের গাছে গাছে হলুদের নিবিড় সমাগম উপস্থিতির দেখা পাওয়া যায়। যেন চারপাশে মুখরিত ফুলের রঙে রঙিন মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে।
“ও পলাশ ও শিমুল-কেন এ মন মোর রাঙালে-জানিনা জানিনা আমার এ ঘুম কেন ভাঙালে”-প্রকৃতির এই অপরূপ রঙের সাজ দেখে যে কারোরই চোখ জুড়িয়ে যায়। পাখির কলকাকলি বসন্তের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ডাকে আপন সুরে। ঋতুরাজের রূপ দেখে প্রকৃতি প্রেমি প্রাণীকূলও মেতে উঠে মিলনের আনন্দে।
গাছে গাছে সবুজ পাতা, মুকুল আর ফুল আর কোকিলের ডাক মনে করিয়ে দেয় বসন্তের আগমনী বার্তা। আমসহ, লিচু লেবু ও বিভিন্ন গাছের পাতা ও মুকুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে আবার এলো ফাগুন, এলো বসন্ত। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি থেকে এখন বিলুপ্তির পথে মূল্যবান শিমুল গাছ। তাই আগের মতো খুব একটা চোখে পড়ে না ফাগুনের রঙে রাঙানো রক্তলাল শিমুল গাছ।
বৈশ্বিক দূষণ আর জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ফলে ধীরে ধীরে প্রতিটি ঋতুই হারাচ্ছে তার নিজস্ব বৈচিত্র্য আর সৌন্দর্যকে। প্রকৃতিকে আর স্বরূপ ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজন পরিবেশ দূষণরোধ ও ব্যাপকভাবে বৃক্ষ রোপণ করা।