খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে অচল হয়ে আছে কোটি টাকার রোগ নির্ণয় যন্ত্রাংশ

# ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা #
শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে মানব দেহের রোগ নির্ণয় যন্ত্রাংশ অচল অবস্থায় পড়ে আছে। এতে করে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। এসব অচল যন্ত্রাংশর যার মধ্যে রয়েছে এনজিওগ্রাম মেশিন, প্যাথলজি পরীক্ষার জন্য হরমোন মেশিন, ক্যাথলাব মেশিন একটি ডায়ালাইসিস মেশিন, অটোমেটিক ডাইলাইজার রিপ্রসেসরস মেশিন এম-আরআই মেশিন, সিটিস্ক্যান মেশিন, ইসিজি মেশিন, কোটি, কাটি টাকার এসব যন্ত্রাংশ পড়ে থাকায় এক দিকে রোগীরা সেবা থেকে হচ্ছে বঞ্চিত অন্য দিকে কনডেম ঘোষণা করতে না পারায় হাসপাতালটির জায়গা দখল করে পড়ে আছে এসব যন্ত্রাংশ। তবে বর্তমান পরিচালক আবু শাহীন এর প্রচেষ্টায় ইটিটি, মেশিন আল্ট্রা¯েœাহগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি মেশিন সচল করতে পারলেও বর্তমান অচল অবস্থায় থাকা মেশিনগুলো পুরাতন মডেল সচল করতে মারাতœক বেগ পেতে হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ারেন্টি আছে এমন মেশিন গুলো সচল করতে বেশ কয়েকবার চিঠি দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে। যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে মেশিনগুলো সচল হয়। এছাড়া গেল প্রায় চারমাস যাবৎ হাসপাতালটিতে হৃদরোগের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এনজিওগ্রাম বন্ধ যার মাধ্যমে রোগীদের হৃদপিন্ডের রক্তনালি গুলো কল্পনা করতে ব্যবহার হয়। কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ডায়ালাইসিস মেশিন একটি অচল অবস্থায় পড়ে আছে পাশাপাশি ডায়ালাইজার রিপ্রসেসরস মেশিন যার মাধ্যমে ডাইলাইসিস মেশিনটি জীবাণু মুক্ত করে এবং পুনারায় ব্যবহার করা হয়। তবে এসব অচল যন্ত্রাংশ পুনারায় সচল করতে বেশ তোড়জোড় করে যাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যেসব যন্ত্রাংশ গুলোর কোম্পানি থেকে ওয়ারের্ন্টি আছে তাদেরকে দিয়ে পুনারায় সচল করার ব্যবস্থা পক্রিয়াধিন আছে। এ বিষয়ে কথা হয় খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগে দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোঃ পল্লবের সাথে তিনি বলেন, হাসপাতালে কিছু যন্ত্রাংশ বিকল অবস্থায় আছে। এসব যন্ত্রাংশ সচল করতে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এসব যন্ত্রাংশ গুলো অনেক আগের থেকে নষ্ট হয়ে আছে। এ দিকে হাসপাতালটিতে এনিজওগ্রাম, ক্যাথল্যাব মেশিনটি বিকল থাকায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। যেখানে সরকারী মাত্র দুই হাজার টাকা খরচ হয় রোগীদের এনিজওগ্রাম করতে সেখানে বাহিরের বেসরকারী হাসপাতাল থেকে এসব পরিক্ষা করতে হয়ে খরছ দশ গুণ মানে ২০ হাজার টাকার মত।এতে করে রোগীদের যেমন অতিরিক্ত আর্থিক খরচ হচ্ছে পাশাপাশি সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে এসব বেসরকারী হাসপাতালের সেবা নিয়ে। এ বিষয়ে কথা হয় মোঃ মারিয়া ৫৫ বছর বয়সী এক রোগীর স্বজন মোঃ মণির সাথে তিনি বলেন গেল বছর অক্টেম্বর মাসে চিকিৎসক আমাকে এনজিওগ্রাম করতে উপদেশ দেয়। তবে, হাসপাতালটিতে এনজিওগ্রাম মেশিন নষ্ট থাকায় প্রায় দেড় মাস অপেক্ষা করি। তারপরও যেহেতু সচল হয়না আমি ২০ হাজার টাকা প্যাকেজে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পরিক্ষা করে ।একই কথা বলেন, মোঃ মোসলেম উদ্দিন তিনি বলেন, আমার হার্টে সমস্য নিয়ে এনজিওগ্রাম করার জন্য প্রায় একমাস অপেক্ষা করার পর। আমি ঢাকা হার্ট ফাউেেন্ডশনের থেকে এনজিওগ্রাম করি।এরপর দেখা যায় আমার হার্টে দুটি ব্লক ধরা পড়ে।আমি তাৎক্ষনিক হার্টে রিং পড়ি। যদি খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে অপেক্ষায় থাকতাম তাহলে আমার আরও বেশি শারিরিক সমস্যা হতে পারতো। এ বিষয়ে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিচালক ডাঃ শেখ আবু শাহীন বলেন, এসব অচল যন্ত্রাংশ সব গুলো আমার যোগদান করার আগে ক্রয় করা হয়েছে।আমি যোগদানের পর অনেক মেশিন সচল করেছি বাকি গুলোর সচল করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা ইতো মধ্যে ওয়ারেন্টি আছে এমন অকেজো যন্ত্রাংশ গুলো সচল করতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে চিঠি দিয়েছি। তারাও সারা দিয়ে চেষ্টা করছে ।আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে এনজিওগ্রাম মেশিটি সচল হবে।এছাড়া কিছু মেশিন যেমন সিটিস্ক্যান,এম-আরই মেশিন এসব আর সচল হওয়ার সম্ভব নেই।আমরা এসব মেশিন গুলো কনডেম ঘোষনা করার অনুমোতি চেয়ে মন্ত্রানালয়ে চিঠি দিয়েছি।