স্থানীয় সংবাদ

শেষ হলো খুলনার প্রাণের মেলা একুশে বই মেলা

# সেরা পুরস্কার পেল তিনটি স্টল #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনার কবি লেখক সাহিত্যিকদের প্রাণের মেলা একুশে বই মেলা শুক্রবার শেষ হয়েছে। তবে গত বছরের চেয়ে পরিবেশ সব কিছুই ভাল থাকলেও বেচাবিক্রি হয়েছে একই রকম। আলফা বুক হাউজের মালিক মনোজ দে এই বই মেলায় আসছেন ২০০৪ সাল থেকে। তিনি বলেন, বিগত বছরের চেয়ে এবার মেলার স্টল বরাদ্দ ও সাজানো ছিল অনেক ভাল। আবহাওয়াও ছিল অনুকুলে। দর্শক সমাগম ছিল বেশী। তবে বই বিক্রি সেভাবে বাড়েনি। মাস জুড়ে বিক্রির শীর্ষে রয়েছে হুমায়ুন আহমেদের বই। এসব বইয়ের ক্রেতা তরুণরা। শুক্রবার বিকেলে খুলনার বয়রাস্থ বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণের মূল মঞ্চে সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার পুলিশ সুপার টি, এম, মোশাররফ হোসেন, খুলনার উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বিপিএম (সেবা), খুলনার সিভিল সার্জন (চ.দা.) ডা: শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও খুলনার সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার ফারহানা নাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের উপপরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমান। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার কর্তৃক আয়োজিত রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। বইমেলায় দৃষ্টিনন্দন ভাবে স্টল সজ্জ্বা ও অন্যান্য সামগ্রিক দিক বিবেচনায় বাক আবৃত্তি অনুশীলন চক্র, আলফা বুক হাউজ এবং আফসার ব্রাদার্স স্টলকে পুরস্কার, সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সমাপনী দিনের সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক আয়োজনে ছিল ‘সুবিধা বঞ্চিত পথশিশু বিদ্যালয়ে’র ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ‘শিল্পকুঞ্জ’,‘জাসাস, দৌলতপুর, খুলনা’এবং বিয়নমনি থিয়েটার এর শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিকে শেষ দিন মেলায় দর্শক সমাগম ছিল চোখে পড়ার মত। জুলাই আগস্ট স্মৃতি বিজড়িত কর্ণারে আগতদের ফটো সেশন ছিল চোখে পড়ার মত। স্টল মালিকরা ছাড় মূল্যে বই বিক্রি করে। তানজিলা বেগম। এসেছেন খুলনার খালিশপুর থেকে। তিনি চারটি বই সংগ্রহ করেছেন। জুলাই আগস্টের গণ অভ্যুথ্যানসহ চারটি বই। তবে শেষ দিন কম মূল্যেই বই কিনতে পেলে খুশি। উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারী নগরীর বয়রা বিভাগীয় গণগ্রন্থগার প্রাঙ্গণে শুরু হয় একুশে বই মেলা।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button