কুয়েটে ‘জুলাই বিপ্লবের’ গ্রাফিতি মুছে ফেলায় ক্ষোভ ও বিতর্ক

স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) জুলাই বিপ্লবের সময় লেখা গ্রাফিতিগুলো মুছে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।অভিযোগ উঠেছে যে, প্রশাসন একদিকে গ্রাফিতি মুছে ফেলছে, অন্যদিকে নতুন দেয়াল তৈরি করে সেখানে বিএনপির পোস্টার লাগানোর অনুমতি দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মতে, এটি দ্বৈতনীতি এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে কুয়েটের গ্রাফিতিগুলো সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এসব দেয়ালচিত্র ও স্লোগান শুধু প্রতিবাদের প্রতীকই ছিল না, বরং তা গণ-আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ স্মারক হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সম্প্রতি প্রশাসনের নির্দেশে এসব গ্রাফিতি মুছে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।’এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘যারা এসব গ্রাফিতি লিখেছিল তাদের গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে খোঁজা হয়েছিল। ৫ আগস্ট না এলে তারা হয়তো আজ বেঁচে থাকতো না। আর আপনারা কত হাসিখুশিতে এসব গ্রাফিতি মুছে দিচ্ছেন। লজ্জা!’ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘কুয়েটের ইতিহাসে কখনও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনও দেয়ালে পোস্টার লাগানো হয়নি।’ শিক্ষার্থীরা এ বিষয়টি তুলনা করে বলছেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই গ্রাফিতিগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি গণ-আন্দোলনের স্মৃতিচিহ্ন এভাবে বিলুপ্ত করা শুধু ইতিহাসকে মুছে ফেলার প্রচেষ্টা নয় বরং এটি ভবিষ্যতের আন্দোলনগুলোর জন্যও একটি সতর্কবার্তা। শিক্ষার্থীদের দাবি, জুলাই বিপ্লবের স্মারক রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নতুন করে ভাবতে হবে, অন্যথায় এটি নতুন অসন্তোষের জন্ম দিতে পারে।