মৌমাছির সাথে মুসল্লিদের বন্ধুত্ব, মধু বিক্রির টাকায় চলে মসজিদ

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি ঃ মসজিদের মিনারে সুমধুর কন্ঠে আজানের ধ্বনী, বাইরে মৌমাছির গুনগুন শব্দ আর দেওয়াল ও ছাদের কার্নিশে ঝুলছে মৌমাছির সারিসারি চাক। মৌমাছিদের অভ্যর্থনায় মসজিদে নামাজ পড়তে ঢোকেন মুসল্লিরা। দেখে মনে হবে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা আগত মুসল্লিদের সাথে মৌমাছিদের রয়েছে নিবিড় বন্ধুত্ব। এমন চমৎকার দৃশ্যের দেখা মিলবে যশোরের অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর পুড়াখালি বাজার জামে মসজিদে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের সম্মুখভাগ ও দক্ষিনপাশে অসংখ্য মৌমাছির চাক। প্রতিবছর শরিষার মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি এসে বাসা বাধে এই মসজিদের দেওয়াল ও ছাদের কার্নিশে। বছর শেষে আবার তারা ফিরে যায় আপন গন্তব্যে। তবে এসব মৌমাছির চাক থেকে সংগৃহীত মধু বিক্রি করে মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যায় করা হয়। মজার ব্যাপার হলো; মৌমাছির চাকের নিচে দিয়ে যাওয়া আসার পথে মুসল্লিদের এসব মৌমাছি কখনো কামড় দেয়না। উপজেলার মথুরাপুর পুড়াখালি মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি নওয়াব আলী মোল্যা বলেন, গত ৮ থেকে ১০ বছর যাবৎ এভাবে মসজিদের কার্নিশে মৌমাছি বাসা বাঁধে এবং নির্দিষ্ট সময়ে চলে যায়। এসব মৌচাক থেকে সংগ্রহ করা মধু বিক্রি করে মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যায় করা হয়। মথুরাপুর পুড়াখালি মসজিদের ইমাম হাফেজ বেলাল হোসেন বলেন, গত ১০ বছর এভাবে মৌমাছি মসজিদের চারিদিকে বাসা বেঁধে বসবাস করে আসছে। তারা আমাদের কোন ক্ষতি করে না। আমরাও তাদের কোন ক্ষতি করিনা। প্রাণীবিজ্ঞানীদের মতে মৌমাছি সব সময় নিরাপদ ও যেখানে পর্যপ্ত খাবার থাকে সে স্থানে বাসা বাঁধে। গ্রামটিতে প্রচুর সরিষার আবাদ হয়। এটিও মৌমাছির বাসা বাঁধার অন্যতম একটি কারণ।