খুলনার দিঘলিয়ার আওতাধীন খেয়াঘাট গুলোতে নানান সমস্যা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার আওতাধীন বিআইডব্লিউটিএ এর কাছ থেকে বৈধ ইজারা নিয়েও খেয়াঘাট ভোগ দখলে নিতে স্থানীয় কতিপয় ব্যাক্তির ক্ষমতার প্রভাবে নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বিআইডব্লিউটিএ এর ইজারাদার শেখ মোঃ আকবর আলী। খুলনা নদী বন্দর থেকে বিগত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে একটি ওয়ার্ক অর্ডার গ্রহণ করেন এবং ১৩ই সেপ্টেম্বর ঘাট গুলো বুঝে পাওয়ার পরে খুলনা জেলা পরিষদ ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন বিআইডব্লিউটিএ এর সাথে বল প্রয়োগ করে ঐ দুটি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে নানান সমস্যার কারণে ইজারাদার শেখ মোঃ আকবর আলী আদালতের দ্বারস্থ হন। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের পাওয়া স্ট্যাটাস কোটেশন পান তিনি। যার সিপি নং – ৩১৫৮/২০২৪।
সে অনুযায়ী আকবর আলীর ইজারাকৃত ঘাট গুলোতে কোনো ধরনের জনদুর্ভোগ বা রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি না করে নিয়মিত টোল আদায় করার নির্দেশ থাকলেও নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করছে কতিপয় মহল। এছাড়া বিগত সময়ে এই খেয়া ঘাটকে কেন্দ্র করে আকবর আলীর উপর দুই দুইবার সন্ত্রাসী হামলা করছেন বলে এসব কথা জানান ইজারাদার শেখ মোঃ আকবর আলী। অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিআইডব্লিউটিএ এর উপ-পরিচালক মোহাঃ মাসুদ পারভেজ ও ইজারাদার শেখ মোঃ আকবর আলী এবং জেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও তাদের ইজারাদার সহ দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও ইজারাদারদের নিয়ে ঘাট গুলোর বিষয়ে বিকেল চারটার সময় আলাপ আলোচনার জন্য ডাকা হয় এবং আলাপ আলোচনার একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টোল আদায় বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় বিআইডব্লিউটিএ এর ইজারাদার শেখ মোঃ আকবর আলী তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে চাইলে ইউএনও দেখতে চায় না। এরই ধারাবাহিকতায় খেয়াঘাট গুলোর মধ্যে শুধুমাত্র বারাকপুর খেয়াঘাটের টোল আদায় শুক্রবার থেকে বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে দিঘলিয়া উপজেলা ইউএনও আরিফুল ইসলাম বলেন, এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য উভয় পক্ষকে ডেকেছিলাম। সিদ্ধান্ত যেটা নেওয়ার বিজ্ঞ আদালতের রায় অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ এবং জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ নিবেন। এ ব্যাপারে আগামী সোমবার জেলা পরিষদ প্রশাসক কার্যালয়ে মিটিং ডাকা হয়েছে।