এক সপ্তাহে তিন শতাধিক ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি

# শরণখোলায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব #
আবু হানিফ, শরণখোলা,বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ শরণখোলায় ব্যাপক হারে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে তিন শতাধিক ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী সামলাতে চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন। প্রতিদিন ২০/২৫ জন করে ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে আসছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, পানি সংকট, রোজায় ইফতারীতে ভাজাপোড়া ও তরমুজ খেয়ে গ্রামাঞ্চলে মানুষজন ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে অনেক রোগী চিকিৎসা গ্রহন করছেন। অবস্থার অবনতি হলেই তারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালে শয্যা সংকটে অনেক রোগী বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৩০জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোরশেদা আক্তার সুমী বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১০জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন আরো ১৫/১৬জন রোগী। রোগী সামলাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে মোরশেদা আক্তার সুমি জানান। শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আশফাক হোসেন বলেন, হঠাৎ করে হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে তিন শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই সময়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ভর্তির দ্বিগুন রোগী চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র নিয়েছেন। হঠাৎ গরম, গ্রামে খাবার পানি সংকট, রমজানে তৈলাক্ত ভাজাপোড়া ও অপরিপক্ক তরমুজ খেয়ে বেশি মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন। ডায়রিয়া রোগীদের বেশীর ভাগ বয়স্ক মানুষ। হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের মধ্যেও তারা কষ্ট স্বীকার করে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) জানিয়েছেন।