স্থানীয় সংবাদ

খুলনায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, যুবদল ও জানাক নেতাসহ ৫ জন রিমান্ডে

# ১ কোটি টাকা চাঁদার দাবিতে অপহরণের অভিযোগ #
# ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর, জেলগেটে জিঞ্জাসাবাদ করা হবে #
# বিএনপি’র দুই সদস্য বহিস্কার, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনায় ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবদল নেতা এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির (জানাক) নেতাসহ ৫ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২৩ মার্চ) আদালতে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের প্রেক্ষিতে খুলনার সিএমএম আদালত-২ এর বিচারক মো: আল আমিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। অপরদিকে এই ঘটনার পরপরই মহানগর বিএনপি’র পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে মাহবুব হাসান পিয়ারু ও জিয়াস সাদাতকে দল থেক বহিস্কার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ৫ জন হলেন, খুলনা মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহাবুব হাসান পিয়ারুল (৫৫), জাতীয় নাগরিক কমিটি খুলনার সমন্বয়ক ইমন মোল্লা (২৪), মোঃ জিয়াউর সাদাত জিয়া (৪৮), ইমনের সহযোগী জয় হাসান (২২) এবং সাকির রহমান (২২)।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড সিপি) মোহাম্মদ আহসান হাবীব জানান, জনৈক নূরে আলম মোল্লা (৫৬) নামে এক ব্যবসায়ীকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তার ভাড়া বাসা হতে শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে তাকে খুলনা সদর থানাধীন গল্লামারী ৪নং কাশেম সড়কে জনৈক শেখ মো. সালাউদ্দিনের বাড়ির ৪র্থ তলার একটি ফ্লাটে আটকে রেখে পরিবারের কাছে ফোন করে মুক্তিপণের জন্য ১ কোটি টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস আভিযানিক টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করে।
কেএমপি ডিবি পুলিশ জানায়, ডিবির ওসি তৈমুর ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার তাদের গ্রেপ্তারের জন্য সোনাডাঙ্গা মডেল থানা এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মোঃ জিয়াউস সাদাত জিয়া, ইমন মোল্লা, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, জয় হাসান ও শাকির রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভিকটিম ব্যবসায়ী নূরে আলম মোল্লাকে আটকাবস্থা থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে কৌশিক আহমেদের দায়ের করা এজাহারের প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার মামলা দায়ের করা হয়। ডিবির ওসি তৈমুর ইসলাম জানান, এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিবির ইন্সপেক্টর হেলাল উদ্দিনকে। ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে মহানগর বিএনপি’র বিবৃতি ঃ
অপরদিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে খুলনা মহানগীর অর্ন্তগত সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি’র সদস্য মাহবুব হাসান পিয়ারু ও ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য কে এম জিয়াউস সাদাতকে বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। একই সাথে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তে বেগম রেহানা ঈসাকে আহবায়ক, মাসুদ পারভেজ বাবু ও বদরুল আনাম খানকে সদস্য করে ৩ (তিন) সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মহানগর বিএনপি। রবিবার (২৩ মার্চ) বিএনপি মিডিয়া সেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন স্বাক্ষরিত পত্রের বরাত দিয়ে মিডিয়া সেল জানিয়েছে, তদন্ত কমিটিকে আগামী ৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button