খুলনায় প্রাথমিক শিক্ষা পদক’২৪ বাছাই প্রতিযোগিতায় অনিয়ম

# পছন্দের নারীকে নির্বাচন করলো শ্রেষ্ঠ কর্মচারী #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৪ বাছাই প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক শিক্ষায় খুলনা জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মচারী নির্বাচনে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। ঐ প্রতিযোগিতায় সদস্য সচিব হিসেবে নির্বাচনের মূল দায়িত্ব পালন করেন খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিও) শেখ অহিদুল আলম। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিযোগিতার শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট যোগ্যতা না থাকলেও তার পছন্দের নারী কর্মচারীকে বেশি নম্বর দিয়ে জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মচারী নির্বাচন করেছেন তিনি। খুলনা পিটিআই এর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শারমিন আক্তারকে বেআইনীভাবে অতিরিক্ত নম্বর প্রদান করে প্রাথমিক শিক্ষায় জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মচারী নির্বাচন করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ১০০ নম্বরের প্রতিযোগিতায় কর্মক্ষেত্রে পারদর্শিতার জন্য তাকে দেওয়া হয় পূর্ণ ৮৫ নম্বর এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য প্রাপ্ত ১১ নম্বর সহ তিনি পান মোট ৯৬ নম্বর। এর ফলে ঐ নারী কর্মচারী খুলনা বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষায় শ্রেষ্ঠ কর্মচারী নির্বাচিত হন। এরপর তিনি গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষায় বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কর্মচারী প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের সুযোগ পান। জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ কর্মচারী মূল্যায়ন ছক (মার্কসীট) যাচাই করে দেখা যায়, উক্ত মূল্যায়ন ছকের ৬,৭ ও ৮ নং ক্রমিকে ই-নথির মাধ্যমে নথি উপস্থাপন ও নথির নোট লিখনে পারদর্শিতা এবং বিদ্যমান বিধি বিধান সম্পর্কে ধারণা অর্জন সংক্রান্তে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে উক্ত কর্মচারীকে পূর্ণ ২৫ নম্বর দেওয়া হয়েছে। তথ্য অধিকার আইনে আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপারিনটেনডেন্ট, পিটিআই, খুলনা কার্যালয়ের গত ১৯/০১/২০২৫ খ্রি. তারিখের স্মারক নং-৩৮.০১.৪৭০০.০০০০.৯৯.০৯০.২৫-১২ মোতাবেক জানান, ই-নথির মাধ্যমে খুলনা পিটিআই এর তথ্য উপস্থাপন বা তথ্য আদান প্রদানের জন্য কোনো লাইফ আইডি খোলা না থাকায় ই-নথির মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদানের কোনো সুযোগ নেই। অনুসন্ধানে জানা যায়, শারমিন আক্তার ই-নথিতে কাজ করার জন্য গত ২৭ জানুয়ারী’২৫ ব্যক্তিগত ইউজার আইডি (২০০০০০৫০৮৯৮৯) খোলেন। এমনকি ইতোপূর্বে তিনি কখনও ই-নথির কোনো কাজ করেননি। কারণ তার ইউজার আইডি ছিল না। কাজেই, ই-নথিতে তার দক্ষতা না থাকায় প্রতিযোগিতায় নির্ধারিত ২৫ নম্বর তিনি পেতে পারেন না। নাম প্রকাশ না করা শর্তে ভুক্তভোগীরা জানান, খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রাথমিক শিক্ষায় জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মচারী বাছাই কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে তার ক্ষমতাবলে স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়ে অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে যোগ্য কর্মচারীদের বঞ্চিত করে তার পছন্দের নারী কর্মচারীকে শ্রেষ্ঠ কর্মচারী নির্বাচন করেছেন যা সম্পূর্ণ বেআইনী। এ বিষয়ে ডিপিইও শেখ অহিদুল আলমের সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।