যশোর কালেক্টরেট ভবনের জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের বিদ্যুতের সংযোগ তার রাতের আধারে চুরি

মোঃ মোকাদ্দেছুর রহমান রকি যশোর থেকে ঃ যশোর কালেক্টরেট চত্বরে জেলা হিসাব রক্ষক অফিস সংলগ্ন বৈদুৎতিক তার চুরি হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে প্রায় দুুপুর পর্যন্ত বিদ্যুতহীন অবস্থায় জেলা হিসাব রক্ষক কর্মকর্তাসহ তার অফিসের কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এবার কালেক্টরেট ভবনে বৈদ্যুতিক তার চুরির ঘটনায় রীতিমতো সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে কোতয়ালি থানায় তার চুরি সংক্রান্ত কোন অভিযোগ জমা পড়েনি বলে নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত কাজী বাবুল হোসেন।
সোমবার ৭ এপ্রিল দুপুর আনুমানিক ১২ টার সময় এ প্রতিবেদক যশোর কালেক্টরেট ভবনের মধ্যে জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে চেক সংক্রান্ত বিষয়ে যান। সেখানে যেয়ে দেখেন জেলা হিসাব রক্ষক প্রধান কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানসহ উক্ত অফিসের অনেকে কালেক্টরেট ভবনের উত্তর পূর্ব পাশে জেলা হিসাব রক্ষক অফিসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। অফিসের মধ্যে অন্ধকারে অনেকে তার চেয়ারে বসে বিদ্যুতের অপেক্ষায় অবস্থান করতে দেখা গেছে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান,গত রোববার ৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে যে কোন সময় সংঘবদ্ধ চোরেরা হিসাব রক্ষন অফিসের পূর্ব পাশের গলি ও উত্তর পাশে বারান্দায় থাকা বিদ্যুতের তার কেটে নিয়ে গেছে। চুরি যাওয়া তারের মূল্য ১০ হাজার টাকা বলে তিনি জানিয়েছেন। সকালে তিনিসহ অফিসের সকলে আসার পর বিদ্যুহীন অবস্থা দেখে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন তার কেটে নিয়ে গেছে। বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান,তিনি যোগদান করার পর ইতিপূর্বে আরো দুইবার বিদ্যুতের তার চোরেরা কেটে নিয়ে গেছে। অথচ খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে,কালেক্টরেট ভবন নিরাপত্তার দায়িত্বে নৈশ্য প্রহরী রয়েছেন। যারা প্রতিদিন সন্ধ্যার পর কালেক্টরেট ভবনে প্রবেশের মুখে সব ক’টি গেটে তালা লাগিয়ে ভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকেন। রোববার ৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে যিনি নৈশ্য প্রহরীর দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলার কারনে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সূত্রগুলো আরো বলেছেন,বিদ্যুতের সংযোগের তার উঁচুতে ছিল। চোরেরা উক্ত তার কেটে নিতে মই ব্যবহার করতে হয়েছে বলে সরেজমিনে যেয়ে মনে হয়েছে। কালেক্টরেট ভবনে রাতে চোরের হানা রীতিমতো ওই ভবনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে দারুণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ওই ভবনে বিদ্যুতের তার চুরি সংক্রান্ত কোন অভিযোগ কোতয়ালি থানায় জমা হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত কাজী বাবুল হোসেন জানান,এধরনের কোন অভিযোগ জমা পড়েনি।