খালিশপুরে কৃষকদল নেতার বিরুদ্ধে চাকুরি দেয়ার কথা বলে অর্ধলাখ টাকা আতœসাত

# বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ নগরীর খালিশপুরে কৃষকদল নেতার বিরুদ্ধে চাকুরি দেয়ার কথা বলে অর্ধলাখ টাকা আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় খালিশপুর থানায় ও মহানগর কৃষকদলের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে ভুক্তভোগী রেনু বেগম।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তিনি দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনীমহল এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে খালিশপুর আলমনগর আশরাফিয়া মসজিদের পাশের বাসিন্দা ও খালিশপুর থানা কৃষকদলের আহবায়ক মোঃ শেখ মোজাম্মেল হোসেনের নিকট যান। তিনি তার মেয়ে শরমিলি আক্তারকে নৌবাহিনী স্কুল এ্যান্ড কলেজ এ অফিস সহকারী পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। সে মতে রেনু বেগম নিরুপায় হয়ে ধার কর্জ করে মোজাম্মেলকে গত ৯ সেপ্টেম্বর’২৩ স্বাক্ষীগনের উপস্থিতিতে নিজ মোবাইলে ভিডিও করে বিবাদীর চাহিদা মতে তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। বিবাদীকে টাকা প্রদানের পর থেকে এ পর্যন্ত রেনুর মেয়েকে কোন চাকুরী দেয়নি, চাকুরী দেওয়ার জন্য বিবাদীর নিকট বহুবার যান ভিকটিম। কিন্তু বিবাদী তাকে বারবার দিন-তারিখ দিয়ে ঘোরাতে থাকে ও ফিরিয়ে দেয়। রেনু বিবাদীর নিকট উপস্থিত হয়ে তার মেয়েকে চাকুরি দিতে অথবা তার টাকা ফেরৎ দিতে অনুরোধ করলে প্রতারক মোজাম্মেল তাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করে। গত ১৬ মাচ’২৫ সকাল ১০টায় বিবাদীর বসবাসরত নিজ বাড়িতে, হোল্ডিং- ২৬/৪, ভালুয়ার বিল, আলমনগর আশরাফিয়া মসজিদ গলি খালিশপুরে গিয়ে দেখা করে এবং তার মেয়েকে চাকুরি দিতে বলেন। তা না হলে তার টাকা ফেরৎ দিতে অনুরোধ করতেই বিবাদী তার উপর উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করে, তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়, চর-থাপ্পর মেরে রেনুকে ফুলা জখম করে, কাঠের বাতা দিয়ে তার বাম পায়ে পিটিয়ে জখম করে। রেনু বেগম চিৎকার চেচামেচি করলে বিবাদী দেখে নিবে, তার সম্মানহানি করবে বলে বিভিন্ন হুমকি দেয়। এ সংক্রান্তে খালিশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু প্রতারক মোঃ শেখ মোজাম্মেল হোসেন বিএনপির দলীয় নেতাকর্মিদের থানায় নিয়ে তার পক্ষে রিপোর্ট দেয়ার জন্য পুলিশকে চাপ প্রয়োগ করছে । এই প্রতারক মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে খালিশপুর এলাকায় দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারন মানুষকে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়ার অভিযোগ রয়েছে। মহানগর কৃষকদলের আহবায়ক সজিব তালুকদার অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ কোন ধরণের অপকর্ম করলে তার দায়ভার তাকে বহন করতে হবে। দল এ জন্য দায়ী নয়। তবে মোজাম্মেল চাকুরি দেয়ার কথা বলে ওই নারীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বলে স্বীকার করেছে বলে এই নেতা জানান। এ জন্য তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে মহানগর কৃষকদলের আহবায়ক জানান। তিনি বলেন, মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে বিগত দিনে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। যা দলের ভাবমুর্তি নস্ট করেছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান। খালিশপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, মোজাম্মেল ওই নারীর কাছ থেকে চাকুরি দেয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তবে ভিকটিম বলেছে, তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত খালিশপুর থানা কৃষক দলের আহবায়ক মোজাম্মেল হোসেন জানান, চাকুরি দেয়ার নামে কোন টাকা নেয়া হয়নি। তার কাছ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা ধার নেয়া হয়েছে। যা আমি তাকে দু’ কিস্তিতে আগামি দু’ মাসের মধ্যে ফেরত দিয়ে দেবো। যা খালিশপুর থানার ওসির কাছেও আমি বলেছি। তিনি আরও বলেন, কোন মারধর বা নির্যাতনের ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।