দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে খোদাভীরু নেতৃত্ব তৈরীর বিকল্প নেই -অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

খুলনা জেলা জামায়াতের রুকন প্রার্থীদের শিক্ষা শিবির
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ আজ সৎ, দক্ষ ও খোদাভীরু নেতৃত্বের অভাবে গভীর সংকটে পতিত। দুর্নীতি, অপশাসন ও গণতন্ত্রহীনতার কারণে সঠিক নেতৃত্বের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে সৎ, দক্ষ ও খোদাভীরু নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। তাই জামায়াতে ইসলামী সমাজে খোদাভীরু নেতৃত্ব তৈরীর কাজ আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেয়ার উপযোগী জনবল তৈরি করতে জামায়াতের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, ন্যায় ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ কায়েম ব্যতিত দুনিয়ায় প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। রুকন প্রার্থীদের আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করতে হবে। নিজেকে পরিবার ও সমাজের মাঝে উত্তম মানুষ হিসাবে উপস্থাপন করতে হবে। এছাড়া সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জীবন মান উন্নয়নসহ প্রতিবেশী ও সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করতে হবে। কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা পালন করতে হবে। বেশি বেশি করে সামাজিক কাজ কর্মের মাধ্যমে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে। শুক্রবার (১১এপ্রিল) নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর রুকন প্রার্থী ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের শিক্ষা শিবির-২০২৫ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে ও জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার, সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সী মঈনুল ইসলাম ও অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, শেখ সিরাজুল ইসলাম, মোস্তফা আল মুজাহিদ, অধ্যাপক স ম এনামুল হক, এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, এডভোকেট লিয়াকত হোসেন, আব্দুর রব প্রমুখ। অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এ বিজয় টেকসই ও অর্থবহ করতে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় রুকন প্রার্থীদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। সকল পর্যায়ে দায়িত্বশীল মানুষ তৈরি করতে হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে স্বৈরাচার পালিয়েছে। এখন দেশটাকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে দেশ গড়ার কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে। সভাপতির বক্তৃতায় মাওলানা এমরান হুসাইন বলেন, আওয়ামী-বাকশালীরা মানুষের মর্যাদা দেয়নি বরং আমাদের ক্ষেত্রে সব সময় শূন্য সহনশীলতা দেখানো হয়েছে। আমাদের ওপর অঘোষিতভাবে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ আগে থেকেই ছিল। এমন কোনো জুলুম-নির্যাতন নেই, যা আমাদের ওপর চালানো হয়নি। প্রথম সারির সকল নেতাকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ফাঁসি দেয়া হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম-খুন করা হয়েছে। কিন্তু তারা জামায়াতের অগ্রযাত্রা কোনোভাবেই রোধ করতে পারেনি বরং শত শাহাদাৎ ও জুলুম-নির্যাতনের পথ ধরেই জামায়াত কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে সফলভাবেই অগ্রসর হচ্ছে। আগামী দিনে মানবতার মুক্তির জন্য বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত ইনশা আল্লাহ।#