খুমেক হাসপাতালের বড় বাবুর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানে ধীরগতি

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের বড় বাবু মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় পরবর্তীতে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা দেননি তদন্তকারী কর্মকর্তারা। গত জানুয়ারি মাসে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা দেননি। যার কারণে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত ২৫ ডিসেম্বর ‘খুমেক হাসপাতালের বড় বাবুর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ’ শীর্ষক শিরোনামে বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রবাহ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রেরিপ্রেক্ষিতে খুমেকত হাসপাতালের পরিচালক ডা: মহসীন আলী ফরাজী নির্দেশনায় ৩ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, বড় বাবু মাহবুবুর রহমানে বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দিতে পারে সে জন্য একটি পক্ষ জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। খুমেক হাসপাতালের সূত্রে জানা গেছে, খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের বড় বাবু মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় হাসপাতালের পরিচালকের নির্দেশনায় গত জানুয়ারি মাসে তিন সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিতে হাসপাতালের তৎকালীন উপ-পরিচালক ডা: মো: নুরুল ইসলামকে সভাপতি, সহকারি পরিচালক ডা: মো: মিজানুর রহমানকে সদস্য সচিব এবং আরএমও ডা: শেখ মো: ইশতিয়াককে সদস্য করা হয়। এর আগে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ( স্বাস্থ্য) ডা: মো: মনজুরুল মুরশিদ খুমেক হাসপাতালের বড় বাবুর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে খুমেক হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে চিঠি প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ( স্বাস্থ্য) ডা: মো: মনজুরুল মুরশিদ বলেন, বিষয়টি আমি খোজ খবর নিয়ে বলতে পারবো। খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা: মহসীন আলী ফরাজী বলেন, তদন্ত শেষ পর্যায়ে। দুই-একদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বড় বাবু মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের ১৭ সেপটেম্বর ভুক্তভোগী বেসরকারী ইন্টার্নি নার্সিং প্রতিষ্ঠান মমতা নার্সিং কলেজ, এশিয়ান নার্সিং কলেজ নিউসিটি নার্সিং কলেজ সিএস,এস নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রে নার্সিং সুপারেন্ট রোকেয়া ও বড় বাবু মাহাবুবুর রহমানের ঘুষ চাওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীরা খুমেক হাসপাতালের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও নিয়মিত পরিচালক না থাকায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া একই প্রতিষ্ঠানে গেল প্রায় ৩৬ বছর যাবৎ চাকুরী করছেন তিনি এর মধ্যে এক যুগ আগে অনিয়মের অভিযোগে তাকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করলেও কয়েক মাস পর আবারও খুমেক হাসপাতালে যোগদান করেন। এর পর থেকে হয়ে উঠেন আরও বেপরোয়া এমনকি তার মুল পদ হিসাব রক্ষক হলেও কাজ করছেন অফিসের বড় বাবু হিসেবে। নাম না প্রকাশ শর্তে এক কর্মচারী বলেন, এর আগে হাসপাতালে ডরমিটরির ভাড়া খাতায় না উঠিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেছেন। এমন অভিযোগ উঠলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এছাড়া হাসপাতালে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তিন বছর পর শ্রান্তি-বিনোদনের ভাতা উঠাতে গেলেও তাকে কমিশন দিতে হয়। এসব বিষয় নিয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর দৈনিক প্রবাহ পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়।


