কুয়েটে হলের ইন্টারনেট পানির সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযোগ

# বিক্ষোভ অব্যহত, রাতে হলে অবস্থান অব্যহত
# ভিসির পক্ষে শিক্ষক কর্মকর্তাদের সমাবেশ
# কুয়েটেকে অস্থিতিশীল করা দুষ্কৃতিকারীদের শাস্তির দাবি শিক্ষকদের
স্টাফ রিপোর্টার ঃ গতদিনের মত মঙ্গলবার রাতেও হলে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করেন, কুয়েট প্রশাসন হলের ইন্টারনেট ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। উপাচার্য পদত্যাগের এক দফা দাবিতে তারাও বিক্ষোভ মিছিল করেন। বর্তমানে শিক্ষাথীরা ছাত্র কল্যাণ সেন্টারের সামনে অবস্থান করছে। কুয়েট ভিসির পক্ষে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সমাবেশ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবির বিপক্ষে মৌন মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। দুর্বার বাংলার পাদদেশে গিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন তারা। এ সময় শিক্ষক-কমকর্তারা শিক্ষার্থীরা কুয়েট উপাচার্যকে হয়রানি করছে দাবি করে এর প্রতিবাদ জানান। এদিকে অমর একুশে হলের উনিশ ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌফিক বলেন, আমরা হলে উঠলেও খাবার পানির সংকট রয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ। দুই মাস আগের ট্যাংকির পানি ব্যবহারের অনুপযোগী। হলের কর্মচারীদের এখনও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আমাদের সমস্যাগুলো হল প্রভোস্টকে অবহিত করেছি। তিনি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের কারণে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম দুই মাস বন্ধ ছিল। সব মিলিয়ে চার-পাঁচ মাস শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। এতে করে আমরা শিক্ষার্থীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের ডেপুটি পরিচালক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই মাস আগে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। ওই সময় হলের ইন্টারনেট সংযোগ এবং পানির লাইন যেভাবে ছিল সেভাবে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হলের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন কিংবা পানির লাইন বন্ধ করে নাই। শিক্ষার্থীদের অভিযোগটি সত্য নয় বরং ভিত্তিহীন। অপরদিকে কুয়েটেকে অস্থিতিশীল করা দুষ্কৃতিকারীদের শাস্তির দাবি শিক্ষকদেও ঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকরা বলেছেন, বর্তমান সময়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য কিছু মহল তৎপর রয়েছে। এ সকল দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন তারা। কুয়েটে সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনা ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর সাথে শিক্ষকবৃন্দের মতবিনিময় সভায় তারা এ দাবি জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক রিলেশনস অফিসার শাহেদুজ্জামান শেখ’র পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় শিক্ষকরা বলেন ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-শিক্ষক যে মর্মান্তিক হামলা ও হেনস্থার স্বীকার হয়েছে তার বিচার এবং তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী দোষীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান। শিক্ষকরা সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে সামনে রেখেই সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানান। এছাড়া সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে অবমূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করায় উপস্থিত শিক্ষকগণ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করেন। এছাড়া জনৈক ব্যক্তি কর্তৃক শিক্ষার্থীদের নামে দায়েরকৃত মামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত উক্ত মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহনের দিক নির্দেশনা দেন। মতবিনিময় সভায় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের যেকোন প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রশাসন পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।