স্থানীয় সংবাদ

আশাশুনিতে মাটির নিচে পুতে রাখা ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের একসরা গ্রামে মাটির নিচে পুতে রেখে গুমকরা ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন করেছে থানা পুলিশ। রবিবার বিকালে এ লাশ উত্তোলন করা হয়। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ সামসুল আরেফিন জানান, যশোর কোতোয়ালি থানার ৯৬ (২৬)০৩/২৫ নং মামলার আসামী আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের হবি গাজীর ছেলে মোঃ সবুজ ওরফে রবিউল (৩৫) এর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আনুলিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আসামী মোঃ সবুজ এর শ্বশুর মোহাম্মদ খোকন মোল্যার বসতবাড়ি সংলগ্ন ঘেরের ভেড়ির পাসে মাটির নিচে পুতে রাখা রেজাউল ইসলামের লাশ বস্তা বন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই চঞ্চল কুমার বিশ্বাস জানান, যশোর শংকরপুর ইসহাক সড়কে কামরুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো: রেজাউল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ মমতাজ বেগম (৪০) গত ২২ মার্চ যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। থানার ডায়েরি এবং তথ্য অনুসন্ধানে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ২৬ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রামের একটি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বীকারুক্তি অনুযায়ী রবিবার বিকাল ৫ টার দিকে মোঃ সবুজ এর শ্বশুর মোহাম্মদ খোকন মোল্যার বসতবাড়ি সংলগ্ন ঘেরের বাঁধের পাশে মাটির নিচে থেকে রেজাউল ইসলামের লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় আশাশুনি থানার এসআই আলমগীর হোসেন, যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, এএসআই তমাস মন্ডল সহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
যশোরে দর্জি কাজে জড়িত রেজাউল খুন হওয়ার প্রায় মাস খানেক পর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয় খুনির শ্বশুরের ভিটাবাড়ি সংলগ্ন বাড়ির পূর্ব পাশের বের বাড়ির সীমানা থেকে। প্রায় তিন ফুট মাটির তলা থেকে পানির ভিতরে পুতে রাখা লাশটি আশাশুনি থানা পুলিশের সহায়তায় যশোর জেলার পুলিশের একটি চৌকস টিম খুনি সবুজের দেখানো মতে স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button