শেরে বাংলা ছিলেন উপ মহাদেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আলোক বর্তিকা

# ৬৩তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা #
স্টাফ রিপোর্টার : উপ মহাদেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ, অবিভক্ত বাংলার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, কলকাতা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মুসলিম মেয়র, বাঙালির নন্দিত নেতা, জমি যার লাঙ্গল তার দর্শনের প্রবক্তা , ঋণ সালিশি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের স্বীকৃত অকৃত্রিম বন্ধু, ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের প্রবক্তা , উপমহাদেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বিশেষ করে কুপমন্ডকতার বেড়াজালে আবদ্ধ মুসলিম জনগোষ্ঠীর জাগরনের বাতিঘর, সারা জীবন নিজের কষ্টার্জিত অর্থ অকাতরে দরিদ্র মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার মহান হৃদয়ের অধিকারী বাংলার বাঘ, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বক্তারা তার জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বরিশাল বিভাগীয় কল্যাণ সমিতি, খুলনার উদ্যোগে এই মহান নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার সমাপনীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মহানগরীর খুলনা নিউমার্কেট সংলগ্ন রোটারি কমপ্লেক্সের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা দোয়া মাহফিলে সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেকের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব, লেখক ও গবেষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল হক নাসিম, বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক বর্তমান সময়ের সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান কবির আহমেদ। প্রধান আলোচক ছিলেন সরকারের উপ সচিব খুলনার জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মো: ইউসুপ আলী। সমিতির সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন হাওলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: নুরুল হক ফকির, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সদস্য সচিব মোঃ কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন আলহাজ্ব মজিবর রহমান খন্দকার। আলোচনা সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন রোটারিয়ান আলতাফ হোসেন, মেজর ডোনার মেম্বার এম এ সালাম, রোটারিয়ান রেজাউল করিম, কে ডি এ কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মতিয়ার রহমান, ইঞ্জিনিয়ার কাজী এনায়েত হোসেন, খুলনার ছাত্রনেতা সমন্বয়ক মো: নাঈম মল্লিক, অ্যাডভোকেট মুফতি শহিদুল ইসলাম, আশরাফ হোসেন, প্রকৌশলী শামীম, সালাম মোল্লা, রোটারিয়ান রুহুল আমিন মিঠু, মজিবর রহমান, হুমায়ুন কবীর খান, নাজেম আলী খলিফা, আব্দুল খালেক বেপারী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ । বক্তারা তৃতীয় শ্রেণী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসের পাঠ্যপুস্তকে স্তর উপযোগী শেরে বাংলার জীবনের বিভিন্ন দিক রাখার দাবি জানান। একই সাথে খুলনার গল্লামারি থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তাটির নামকরণ ‘শেরে বাংলা এভিনিউ’ রাখার দাবি জানান।