ডুমুরিয়ায় সৈয়দপুর ট্রাস্টের জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

# প্রশাসনের বাঁধা উপেক্ষিত #
স্টাফ রিপোর্টার : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেটের জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাঞ্চনপুর মৌজার কাকুরপাড়া বটতলা নামক স্থানে একটি দখলদারচক্র এ অবৈধ দখল কার্যক্রমে লিপ্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে একাধিকবার বাঁধা প্রদান এবং নির্মাণ কর্মকান্ড বন্ধ করে দিলেও তারা তা লংঘণ করে নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছে। অভিযোগে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর মৌজার কাকুরপাড়া বটতলা নামক স্থানে সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেটের জমি (এস এ খতিয়ান-২, দাগ-৮৭১, আরএস খতিয়ান-১, দাগ-৯৬৪) সম্প্রতি একটি চক্র অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। অবৈধ নির্মাণকারীদের মধ্যে অন্যতম হলেন ফজলে করিম খানের ছেলে নজরুল ইসলাম খান। তিনি স্থানীয় আঠারো মাইল বিএমকে দাখিল মাদরাসার শিক্ষক। এছাড়াও তার সহযোগীরা হলেন- তার ভাই দাউদ আলী খান, নওশের আলী মোড়ল, সোহরাব আলী মোড়ল, জালাল মোড়লসহ কয়েকজন। এদিকে, এ খবর পেয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুর রহমান ও ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) জাহাঙ্গীর আলম একাধিকবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা অমান্য করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিষয়টি স্বীকার করে নায়েব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেটের জমি অবৈধভাবে দখল ও স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে আমি এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গত শনিবার সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে তাদেরকে নির্মাণকাজ করতে নিষেধ করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক দিনের মধ্যে স্থাপণা ভেঙে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন, কিন্তু তারা না মেনে তারা নির্মাণ কাজ করছে- এ বিষয়টি এ প্রতিবেদকের কাছে জানার পর তিনি এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দখলদার মো. নজরুল ইসলাম বরাদ্দ ছাড়াই সৈয়দপুর ট্রাস্টের জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণকাজ করার কথা স্বীকার করে বলেন, ওই জমি বরাদ্দ পাওয়ার জন্য তিনি আবেদন করেছেন। তবে আবেদন মঞ্জুর হয়নি। এছাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একদিনের মধ্যে স্থাপনা ভেঙে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিলেও তিনি ১৫ দিনের সময় নিয়েছেন বলে দাবি করেন।