স্থানীয় সংবাদ

মণিরামপুরে সাথী হত্যাকা-ের মূল হোতা মিন্টু ও ছেলে জিসান পুলিশের খাঁচায় বন্দী, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি ঃ যশোরের মণিরামপুরে চাতাল মিলে নারী শ্রমিক স্বরূপজান ওরফে সাথী খাতুন হত্যাকা-ের মুল হোতা পুলিশের খাঁচায় বন্দী হয়েছে। আটককৃতরা হলো উপজেলার খাটুয়াডাংগা গ্রামের মৃত. জাহাতাপ সরদারের ছেলে আব্দুর রশিদ মিন্টু ও তার ছেলে জিসান হোসেন। এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে কুড়াল ও শীলের নোড়া উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেছে। জানা যায়, গত সোমবার সকালে খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামস্থ আব্দুর রশিদ মিন্টুর চাতাল ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকার সংবাদ পায় পুলিশ। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মণিরামপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরেজমিনে দেখতে পাই ভিকটিম স্বরুপজান ওরফে সাথী খাতুনের মৃতদেহ পড়ে আছে এবং তার শরীরের মাথা সহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পরবর্তীতে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ সংক্রান্তে ভিকটিমের ভাই মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪৪) বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় এজাহার দায়ের করে। যার মামলা নং-১৬, তাং-২৮/০৪/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয় ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন সহ জড়িতদের গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে নির্দেশনা প্রদান করলে মণিরামপুর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সমন্বয়ে কয়েকটি টিম ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে সোমবার সারা রাত যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যায় জড়িত ভিকটিমের স্বামী আব্দুর রশিদ মিন্টু এবং অপর আসামি ভিকটিমের সৎ ছেলে জিসান হোসেন (২২) কে অভয়নগর থানাধীন শংকরপাশা এলাকা হতে গ্রেফতার করে।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ গাজী সাংবাদিকদের জানান, আসামিদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি মতে আসামিদ্বয়ের বসতবাড়ী থেকে হত্যা কাজে ব্যবহৃত কুড়াল ও শীলের নুরা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ভিকটিমের সাথে আসামিদের পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা কান্ডটি ঘটিয়েছে।
মণিরামপুর থানা সূত্রে জানাযায় আটক আসামিদের মঙ্গলবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে।
অপর দিকে হত্যাকা-ের শিকার ভিকটিম সাথীর মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার মাগরিব বাদ গ্রামের বাড়ি কাজিয়াড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button