ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্ষতি ও হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার ঃ
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্ষতি, প্রতারণা, হয়রানী ও হুমকির প্রতিবাদে ইসরাত জাহান নামে একজন নারী উদ্যোক্তা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি ওই নারী উদ্যোক্তা বলেন, রূপসা নৈহাটি গ্রামে আমার পৈত্রিক বাড়িতে ২০১৩ সালে পোল্ট্রি খামার গড়ে তুলি। ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় পরবর্তীতে তিনি ৫ কাটা জমি ক্রয় করে বসত বাড়ি ৪ তলা ও খামার প্রকল্পে ৫ তলা ফাউন্ডেশন তৈরি করি। পোল্টি খামারে ১ হাজার ৮শ মুরগীর মধ্যে শতকরা ৯৪ ভাগ প্রতিদিনই মুরগীতে ডিম দিতো। ২০২১ সালে এলাকায় কতিপয় দুর্বৃত্তরা আমার খামারে বিষ প্রয়োগ করে। এতে আমার সব মুরগী মারা যায়। এ ঘটনায় স্থাণীয় থানায় মামলা করতে গেলে তারা মামলা নেয়নি। তখন স্থাণীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি সদস্য সোহেল, আলমগীর এবং থানার এএসআই আজাদের উপস্থিতিতে শালীসি বৈঠকে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহিৃত করা হয়। বিচারকরা প্রতিপক্ষের নিটক আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিচারে মাত্র ৭ হাজার টাকা জরিমানা করে। আমি নাকি বিএনপি রাজনীতি করি এই তকমা দিয়ে আইনগত সহায়ত্ াগ্রহণে বাধা প্রদান করে এলাকার কুচক্রিমহলেরা। তখন খামারটি দাড়করানোর জন্য যুব উন্নয়ন থেকে ৩ লাখ ৭৫ লাখ টাকা ঋন গ্রহন করি। কিন্তু এরপর খামারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে নি:স্ব হয়ে ধার দেনা পরিশোধ এবং স্বামীকে বিদেশ পাঠানোর জন্য ৫ কাঠা ওপর নির্মিত ভবনটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই। ভবনসহ ওই জমিটি ৩৭ লাখ টাকায় বিক্রির জন্য একজন গ্রাহকের সাথে কথাবার্তা ফাইনাল হয়ে গেলে তা জানাজানি হয়ে যায়। পরে ইব্রাহিম হুজুর ওই পার্টিকে কান পড়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। পরে নিজেই জমি ক্রয় করার আগ্রহ দেখিয়ে ২৫ লাখ টাকার দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কথা হয় সব টাকা এক সাথে পরিশোধ করার পর রেজিস্ট্রি করে দেব। ওই সময় সে আমাকে ২ লাখ টাকা দেয়। পরবর্তীতে রেজিস্ট্রি করার জন্য চাপ দিলে পরে আমার আরও ১ লাখ টাকা দেয়। বিভিন্ন সময় ৫-১০ হাজার করে সর্বমোট ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রদান করে। এদিকে স্¦ামী বিদেশ যাওয়ার ভিসা চলে আসায় আমি ্ইব্রাহিম হুজুরকে জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য চাপ দিলে তিনি ২৫ লাখ থেকে ২২ লাখে প্রস্তাব দেয়। আমি তাতেও রাজি হই। এরপর বলে ১৮ লাখ টাকায় জমি বিক্রি করলে তিনি পরের দিনই রেজিস্ট্রি করবেন। এভাবে মিথ্যা কথা দিয়ে ঘুরাতে থাকে । আমার স্বামী বিদেশ যেতে পারেনি। তখন আমি বাড়ি বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নেই। এখন সে আমার কাছে পাওনা ৩ লাখ ৬০ হাজার ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। ৫ আগষ্টের পর আওয়ামী লীগের তকমা দিয়ে বিএনপির পরিচয় একদল লোক নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জীবন নাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি দখলের চেষ্টা চালায়। বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় রোডে একটি ছোট খাট রেস্টুরেন্ট দিয়ে কোনমতে বেচে আছি। এখবর জানতে পেরে ইব্রাহিম হুজুর
গত ৮ ফেব্রুয়রি লোকজন নিয়ে আমার রেস্টুরেন্টে এসে আমাকে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও আমার কর্মচারীদের মারধর করে। আমি তাকে বলেছি, আমি পাওনা পরিশোধ করে দেবো। আমাকে একটু সময় দেন। কিন্তু তিনি এখন ব্যাংকের সুদসহ টাকা দাবি করছেন। আমার প্রতি অন্যায় অত্যাচার করা হয়েছে। আমি তার বিচার চাই।