স্থানীয় সংবাদ

বাজারে চালের দাম কমেনি : নতুন চাল সরবরাহ কমতে পারে

# ছোট ছোট গুদামে মজুদে ব্যাস্ত মৌসুমী ধান ব্যবসায়িরা #

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ চলছে বোরো মৌসুম আর এই মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে ছোট ছোট গুদামে মজুদে ব্যস্ত রয়েছে ব্যবসায়িরা। এতে করে বোরো ধানের ভরা মৌসুমে বাজারে চালের দাম বেড়েই চলেছে। এ দিকে ব্যবসায়িরা বলছে নতুন ধান এর চাল বাজারে সরবরাহ না হলে দাম কমার সুযোগ খুব কম। গেল বছর অতি বন্যায় মিলারদের ধানে ব্যাপক ক্ষতির জন্য চালের এমন দাম বেড়েছে। এ দিকে গেল এক মাসে মোটা চাল বস্তা প্রতি ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। এছাড়া মিনিকেটসহ অন্যান্য চালের দাম কেজি প্রতি পাঁচ টাকা থেকে আট টাকা পর্যন্ত বেড়েছে । এছাড়া মিলাররাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এসব বোরো ধান গুদামে মজুদ নিয়ে। জানাযায় ব্যবসায়িরা কৃষকদের কাছ থেকে আমন ধান মণ প্রতি ১৪শ’৫০ টাকা থেকে ১৪শ’ ৮০ টাকা দরে ক্রয় করে রাখছে। মজুদকৃত এসব ধান দুই থেকে তিন মাস পর ১৫শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা প্রতি মণ বিক্রি করবে এমন প্রত্যাশায় মজুদে ব্যস্ত রয়েছে। এদিকে বাজারে চালের দাম বাড়তি থাকায় বিপাকে নি¤œ ও মধ্য আয়ের ভোক্তারা। খুলনা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এবছর চাহিদার তুলনায় আরও বেশি ফলন হয়েছে । চলতি বছরে বোরো মৌসুমে ধানে পোকা মাকড় কম থাকায় ধানের অর্জিত ফলন ভালো হয়েছে । পাশাপাশি আমাদের বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছিল ৬৪,৯৫০ হেক্টর জমি। তবে লক্ষমাত্রা ৬৫,৫৩৬ হেক্টর পর্যন্ত ছাড়িয়েছে। কথা হয় নগরীর দৌলতপুর বাজার এলাকায় পাইকারী ও খুচরা চাল বিক্রেতা মোঃ রিপনের সাথে তিনি বলেন, নতুন চাল এখনও বাজারে সরবরাহ হয়নি। পুরাতন চালের দাম বেশি আছে। প্রতি সপ্তাহে এবটু করে দাম বাড়ছে। বর্তমান আমাদের কাছে স্বর্ণা চাল রয়েছে তিন প্রকারের ৫১ টাকা থেকে ৫৩ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি, এছাড়া আঠাশ চাল ৫৮ টাকা, মোট চাল ৪৭ টাকা প্রতি কেজি, মিনিকেট ৭২ টাকা প্রতি কেজি, বাশমতি চাল ৮৩ টাকা প্রতি কেজি, কাটারি ভোগ ইন্ডিয়ান ৭৬টাকা প্রতি কেজি, বলতে পারেন বাজারে চাহিদা তুলনায় কম সরবারহ থাকলে চালের দাম বাড়বে। আবার নতুন বোরো ধানের চাল সরবারহ হলে দাম স্বাভাবিক হবে।এছাড়া দেখা যায় খুলনা সাহাপুর এলাকায় খুচরা ধান ক্রয় করছেন মোঃ রবিউল ইসলাম। তিনি একজন কৃষকের কাছ থেকে ৫৫ মণ ধান ক্রয় করছেন। এভাবে প্রতিদিন তিনি ধান ক্রয় করছেন। তার নিজস্ব একটি ছোট গুদাম আছে কয়েক মাস পর আবারও ধানের দাম বাড়তী থাকলে বিক্রি করবেন এমন আশায়। এছাড়া ভালো দাম পেলে এখনই বিক্রি করবেন। তিনি বলেন, আমি একা আমার মত আরও অনেক মৌসুমী ধান ব্যবসায়ি আছে যারা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে সামান্য মুনাফা নিয়ে বড় বড় মিলারদের কাছে ট্রাকে করে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আবার যার পুজি বেশি সেই ব্যবসায়ি ধান নিজেই সংরক্ষণ করছেন। এ বিষয়ে খুলনা কৃষি অধিদপ্তরের উপঃ পরিচালক মোঃ নাজমুল বলেন, চলতি মৌসুমে খুব ভালো ধান উৎপাদন হয়েছে খুলনাতে। ধানগুলো কোন ধরনের পোকা মাকড় লাগেনি চকচকে, সোনালী আকারে ধান, এ পর্যন্ত প্রায় ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। ফলন যা হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ মেঃ টন উৎপাদন হবে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button