অবশেষে খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অবৈধ নিয়োগ সিদ্ধান্ত বাতিল

# দৈনিক প্রবাহ’র সাহসী ভুমিকায় বড় দুর্র্ণীতির হাত থেকে রক্ষা পেলো বিশ্ববিদ্যালয়টি #
# দৈনিক প্রবাহে ভিসির দুর্নীতির সংবাদের যৌক্তিকতায় সিন্ডিকেট সভায় অনিয়মের দায় নিতে চায়নি কোন সদস্য
# ভিসির চাকুরির মেয়াদ শেষ, ক্ষোভে ফেয়ার ওয়েল না নিয়ে বিদায় নিলেন তিনি
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো.মাহবুবুর রহমানের চাকুরির মেয়াদ ছিল ২ মে পর্যন্ত। ১ মে মহান মে দিবসের ছুটি ও ২ মে শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল বুধবার ছিল তার শেষ অফিস। ২৯ এপ্রিল তিনি তড়িঘড়ি করে বিশেষ সিন্ডিকেট সভা তলব করেন। সেখানে জাকিয়া সুলতানার অবৈধ নিয়োগ পাশ করানো নিয়ে সিন্ডিকেট সভার সদস্যদের বাধার মুখে পুনরায় উত্থাপন করা নিয়োগ সিদ্ধান্তটি বাতিল হয়। ভিসি ক্ষোভে গতকালই তার শেষ অফিসের দিন বিদায় সম্বর্ধনা না নিয়ে বিদায় নেন। আর সেই সাথে খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাসিস্ট সরকারের দুর্নীতিবাজ এক দালাল হতে মুক্ত হয়। গতকাল বিষয়টি এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমান রেজিষ্ট্রার এস,এম আবু নাসের ফারুক। উল্লেখ্য, খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো.মাহবুবুর রহমান সহকারি পরিচালক (হিসাব ও অর্থ) পদে জাকিয়া সুলতানার নিয়োগ নিয়ে কয়েকদফা সিন্ডিকেট সভা ডেকে নিয়োগ পাশ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। ভিসির সাথে বিশেষ সুস্পর্কের খাতিরে জাকিয়া সুলতানা ২০২১ এর আগস্ট মাসে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক ৬ মাস করে ২ বার অর্থাৎ ১ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির পর আর সুযোগ না থাকায় ১ দিনের সার্ভিস গ্যাপ দিয়ে পুনরায় তাকে আবারও এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ০৮/০৮/২০২২ ইং তারিখে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ঐ বছরের ডিসেম্বর তাকে স্থায়ীভাবে যোগদান করানো হয়। বিধিবর্হিভূত হওয়ায় তৎকালীন সময়ে উক্ত ১ দিনের সার্ভিস গ্যাপটি ব্রিজ করানো সম্ভব হয়নি। উক্ত নিয়োগ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত হিসাব করলে তার অভিজ্ঞতা দাঁড়ায় সর্বসাকুল্যে ২ বছর ৪ মাস। ৯ম গ্রেডের চাকিরতে ৪ বছর মেয়াদ কাল ছাড়া কোন ভাবেই তিনি ৭ম গ্রেডের পদে আবেদন করতে পারনেনা। এছাড়াও বহুবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে এক একজনের নিয়োগে নিয়ে যা এখনো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। এক জাকিয়া সুলতানার অবৈধ নিয়োগের কোন দায়ভার সিন্ডিকেট সভার কেউ নিতে রাজি না হওয়ায় জনমনে স্বস্তি। দৈনিক প্রবাহ কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়টির একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ।