স্থানীয় সংবাদ

কেএমপি ট্রাফিক পুলিশের ৫৬টি ডিউটি স্পটে আছে মাত্র ৪ টি পুলিশ বক্স

# নেই নারী বান্ধব শৌচাগার : তিব্র গরমে মাথার উপর ছাতা ভরসা

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ কেএমপি’র ট্রাফিক মোট ৫৬টি ডিউটি স্পট আছে। আর এই ডিউটি স্পট এর মধ্যে মাত্র ৪টি ট্রাফিক পুলিশ বক্স ব্যবহার যোগ্য।এর আগে ৮টি পুলিশ বক্স থাকলেও দীর্ঘ দিন যাবৎ ব্যবহার কারণে জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল তারপরও সড়ক নির্মাণ করতে যেয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এসব স্পটে প্রায় ৭৩ জনের মত পুলিশ সার্জেন্ট রয়েছে। ২৩০ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মধ্যে নিয়মিত ২৩০ থেকে ২৫৯ জন দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ৪ জন সার্জেন্ট এর আওতায় দুটি মোবাইল টিম রয়েছে। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগের পুলিশসহ অন্যান্য নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য নেই নারী বান্ধব শৌচাগার। দায়িত্ব পলনের সময় এসব নারী পুলিশ সদস্যদের জরুরী মুহুর্তে মার্কেট, আশেপাশের বাড়ী বা হাসপাতাল ভরসা । এছাড়া তিব্র গরমের মধ্যে সড়কে মাথার উপর ছাতা যেন ভরসা দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। কেএমপি’র সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৯০ দশকের আগে নির্মাণ করা হয় মোট ৮ টি পুলিশ বক্স। যার মধ্যে ফুলবাড়ী গেট, নতুন রাস্তা মোড়, বৈকালী মোড়, শিববাড়ী মোড়, পাউয়ার হাউজ মোড়, ময়লা পোতা মোড়, গল্লামারি,ও রুপসা স্টান্ড এলাকায়। তবে সড়ক উন্নয়নসহ নানা সমস্যায় ময়লাপোতা, গল্লামারী, ফুলবাড়ী গেট, রুপসা পুলিশ বক্স গুলো ভাঙ্গা হয়েছে। পুরাতন এসব পুলিশ বক্স গুলোতে নেই নারী বান্ধব শৌচাগার। এ বিষয়ে নগরীর শিববাড়ী মোড় এলাকায় এক নারী পুলিশ সদস্য’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কেএমপিতে দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্ব পালন করছেন। জরুরী মুহুর্তে আশেপাশে বাড়ী,মার্কেট, হাসপাতাল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভরসা।এ ছাড়া দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড়-বৃষ্টিসহ প্রখর রোদ্রের মধ্যে পড়তে নানা সমস্যায়। তখন আশেপাশের বাড়ী, চায়ের দোকান সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য হতে হয়। পাশাপাশি আজ এখানে ডিউটি আগামীকাল অন্য স্পট ডিউটি আমাদের নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই কোন গাড়ীর মামলাসহ কাগজ পত্র যাচাই বাচই করতে বা লেখার কাজ করার জন্য আধুনিক পুলিশ বক্স প্রয়োজন। এছাড়া কেএমপিতে নেই কোন ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি হাতের ইশারা, বাশিঁ আর লাঠি যেন আমাদের ভরসা। তবে আশাবাদি আমাদের উর্দ্ধতণ কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিবেন। এছাড়া দেখা যায় নগরীর ব্যাস্ততম ডাকবাংলা এলাকায় দুইজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য প্রখর রোদ্রে ডিউটি পালন করলেও একজনের মাথায় ছাতা তবে দায়িত্বরত সার্জেন্ট এর ডিউটি পালন করতে হচ্ছে রৌদ্রের মধ্যে কারণ তার কাছে কোন ছাতা নেই। আর সড়কের আইল্যান্ডের উপর যে ছোট ছাউনি এই ছাউনিতে কাজ হচ্ছে মাথার উপর যেন সূর্যের আলো ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে কেএমপি’র উপঃ পুলিশ কমিশনার (ইএন্ডডি) মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আধুনিক পুলিশ বক্স নির্মাণ করতে পুলিশ অধিদপ্ত্রকে অবগত করেছি। চিঠি দিয়েছি তবে এখনও আর্থিক বরাদ্দ আসেনি। যে কারণে কাজ শুরু করা হয়নি। আশাকরি দ্রুত একটা ব্যবস্থা হবে। এ বিষয়ে খুলনা ট্রাফিক বিভাগের (ডিসি) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, কিছু পুলিশ বক্স কেসিসি’র পক্ষ থেকে নির্মাণ করা হবে বলে অবগত করেছে খুলনা সিটি কর্পেরেশন যেমন ময়লাপোতা, ফুলবাড়ী গেট এছাড়া শিববাড়ী মোড়ে পুলিশ বক্স কেডিএ’র সহযোগীতায়। দায়িত্ব পালনের সময় সকল পুলিশ সমস্যার স¤œুখিন হচ্ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। পুলিশ কমিশনার স্যারের দিক নির্দেশনায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা ভোর ছয়টা থেকে কাজ শুরু করেন। দুটি টহল ট্রাফিক টিম আছে যারা সড়কে বিভিন্ন স্থানে ডিউটি পালন করছে। এর ধারাবাহিকতায় আমরা ট্রাফিক পালনের পাশাপাশি মাদকসহ আটক যেমন ইয়াবা, গাজা, অস্ত্রসহ চোরাই মালামাল আটক করছি। সড়কে খুব ভোরে কাউকে সন্দেহ হলে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে একটা ব্যবস্থা হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button