স্থানীয় সংবাদ

কেশবপুরে আজিজুল হাকিমের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের কেশবপুর প্রেসক্লাবে শুক্রবার আলমগীর হোসেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। যার প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে বাগদাহ গ্রামের মৃত রাজ আলী মোড়লের ছেলে আজিজুল হাকিম।
কেশবপুর প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত ও-ই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাকিম বলেন, বাগদাহ গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন সেনপুর মোড়ে আমার চাচাতো ভগ্নিপতি মশিয়ারের দোকান থেকে রড, সিমেন্ট, ইট ও বালি বাকীতে লেন-দেন করতো। যে সুবাদে এই দোকানে ১০ লাখ টাকা বাকী বাধে। পতিত সরকারের পতনের পর সে ওই টাকা দিতে তালবাহানা শুরু করে। তখন ভগ্নিপতি মশিয়ার আমাকে সঙ্গে নিয়ে আলমগীর হোসেনের বাড়িতে এই টাকার তাগাদা দিতে যায়। এক পর্যায়ে আলমগীর বলে “টাকা পারলে আদায় করে নিস” তখন আমার সঙ্গে তার বাক-বিতন্ডা হয়। তারই জের ধরে সে আমাদের নামে ১০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা করে।
তিনি আরো বলেন, আলমগীর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারের সাথে সখ্যতা তৈরি করে অবৈধ পতিত সরকারের ক্ষমতা ব্যবহার প্রচুর কালো টাকার মালিক হয়েছে। আলমগীরের জামাই হুমায়ূন কবির ও তার বাবা এলাকার কুচক্রী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তারা মরহুম আবু বক্কার আবুর মতাদর্শের পরিপন্থি। সে তার অবৈধ টাকার মাধ্যমে একটি কুচক্রী মহলকে ম্যানেজ করে আমাকে চাঁদাবাজ বানিয়েছে। আমি বিএনপির রাজ পথের সৈনিক। বিগত ১৭ বছর পতিত সরকারে আমলে বিএনপির এমন কোন কর্মসূচী নেই যেখানে আমি অংশ গ্রহণ করেনি। যার ফলশ্রুতিতে আমার নামে একাধিক মামলা হয়েছে। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে মরহুম আবু বক্কার আবুর হত্যা মামলা তুলে নেওয়ার হুমকীর যে বিষয়টি উল্লেখ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। শুক্রবার সকালে আলমগীরের সঙ্গে আমার বিরুদ্ধে করা মামলা মিমাংসার ব্যাপারে কথা বলতে গেলে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হুমায়ুন কবির তার হাতুড়ি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসর আলমগীর ও তার জামাই হুমায়ূন কবিরকে ব্যবহার করে আমার সঙ্গে থাকা নেতা- কর্মীদের নামে যে মিথ্য অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে আমি তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও দলীয় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button