স্থানীয় সংবাদ

হাঁস পালন করে নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে দিয়েছেন খামারিরা

# ফুলতলায় হাঁস পালনে স্বাবলম্বী #

সাইফুল্লাহ তারেক ঃ হাঁস পালন করে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে দিয়েছেন খামারি ইয়াসিন ফারাজি প্রবল ইচ্ছা শক্তি, আস্থা আর কঠোর পরিশ্রম করে বর্তমানে তার মাসে আয় প্রায় লক্ষাধিক টাকা। হাঁস পালন করে সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছেন খুলনার ফুলতলার বেকার যুবকরা। তারা হয়ে উঠেছেন স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল। বাড়তি আয়ের আশায় এখন এলাকার অনেকেই হাঁস পালনে আগ্রহী হচ্ছেন। জানা গেছে, উপজেলায় ১০টির বেশি খাকি ক্যাম্পেল হাঁসের খামার গড়ে উঠেছে।খামারিরা জানান, খাকি ক্যাম্পেল হাঁসের শারীরিক গঠন ভালো। যথেষ্ট মাংস থাকে এবং এ জাতের হাঁস দ্রুত বাড়ে। দুই থেকে আড়াই মাসে তিন থেকে চার কেজি ওজন হয়। প্রতি কেজি হাঁস বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। এই জাতের হাঁসের রোগবালাই কম হয় এবং জলবায়ুসহিষ্ণু। উপজেলার দামোদার ফারাজিপাড়ার ইয়াসিন ফারাজি ৫০টি হাঁসের বাচ্চা নিয়ে খামার শুরু করেন। তখন তাঁর লাভ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে তাঁর খামারে ১,৩০০ শ,টি হাঁস রয়েছে। আশপাশের অনেকেই এখন এ জাতের হাঁস পালনের দিকে ঝুঁকছেন।ফুলতলা উপজেলার দামোদার গ্রামের মেঘলা আক্তার জানান, তারা ইয়াসিন ফারাজি দেখে উৎসাহিত হয়ে এই জাতের হাঁসের খামার করেছেন। এছাড়া উপজেলার দামোদার সহ বিভিন্ন গ্রামে দিন দিন চীনের বেইজিং বা পেকিন জাতের হাঁস পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মাংস উৎপাদনের পাশাপাশি গ্রামীণ গৃহবধূদের ভাগ্য বদলে দিচ্ছে মাংসের জন্য প্রসিদ্ধ এই পেকিন হাঁস। সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে গৃহবধূরা বাড়ির উঠানে আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে কেউ মাচায় আবার কেউ খাঁচায় গড়ে তুলেছেন পারিবারিক খামার। এই দ্রত বর্ধনশীল হাঁস পালন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন ফুলতলা উপজেলার শতাধিক গৃহবধূ। সঠিক পরিচর্যা এবং সুষম খাবারের মাধ্যমে মাত্র ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যেই প্রতিটি হাঁস আড়াই থেকে তিন কেজি ওজন হয়। পেকিন হাঁসের পালনের জন্য মাচা পদ্ধতি সবচেয়ে কার্যকর। উপজেলার জামিরা গ্রামের শিউলী বেগম জানান সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে পেকিন হাঁস পালন করে তিনি অনেক লাভবান হচ্ছেন। বর্তমানে বাজারে তিনি প্রতিটি পেকিন হাঁস ৪শত থেকে ৫শত টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। একশত হাঁস বিক্রির অর্ধেক টাকাই লাভ হচ্ছে। এতে করে সংসারের টুকিটাকি খরচের জন্য এবং সন্তানদেরপড়ালেখার বাড়তি খরচের টাকা স্বামীর কাছ থেকে নিতে হচ্ছে না।তিনি পেকিন হাঁস পালন করে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছেন এবং সংসারের অনেক অভাবও দূর হয়েছে। আগামীতে তিনি আরো বেশি করে পেকিন হাঁস পালন করবেন বলেও জানান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button