সুন্দরবনে থামছে না হরিণ শিকার, শিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে

শরণখোলা প্রতিনিধি ঃ সুন্দরবনের জীব ও প্রাণীজ বৈচিত্র্য রক্ষায় বন বিভাগের নানা পদক্ষেপ থাকা সত্ত্বেও থামছে না হরিণ শিকার। প্রতিদিন শিকারিদের ফাঁদে ধরা পড়ছে শত শত হরিণ। এতে কমে যাচ্ছে হরিণের সংখ্যা, পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। বন বিভাগ জানিয়েছে, শিকার বন্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে নিয়মিত।এতেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না শিকারীদের দৌরাত্ম্য। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী সুন্দরবনের চাঁদপাই, কচিখালী, হারবাড়িয়া এবং করমজল এলাকার বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে হরিণ শিকারের মতো অবৈধ কার্যক্রম। নানা ধরনের কৌশলে গোপনে ফাঁদ পেতে এই শিকার চলছে অবাধে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে শুধু এসব অঞ্চল থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে ৪৫৮ কেজি হরিণের মাংস। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে ৩টি বন্দুক, ১২টি ফাঁদ, ৩টি চামড়া এবং বিপুল পরিমাণ শিকারের সরঞ্জাম। এ সময় কোস্ট গার্ড অভিযান চালিয়ে আট জনকে আটক করে। কিন্তু তারপরও থামানো যাচ্ছে না অবৈধ শিকার।
হরিণের মাংস গোপনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় চড়া মূল্যে। এর পাশাপাশি হরিণের চামড়া ও হাড় দিয়ে তৈরি হয় ঘর সাজানোর বিভিন্ন সামগ্রী। এসব পণ্যের চাহিদা থাকায় অনেকেই লোভে পড়ে জড়িয়ে পড়ছে হরিণ শিকারের মতো নিষিদ্ধ পেশায়। পরিবেশবিদ এবং স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, এভাবে চলতে থাকলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হুমকির মুখে পড়বে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য। এমতাবস্থায় শিকার বন্ধে আরও কঠোর নজরদারি এবং আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বন বিভাগ জানিয়েছে, কোস্ট গার্ড ও বন পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ টহল জোরদার করা হয়েছে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে।