বাগেরহাটের কচুয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করতে গিয়ে একই নামের কৃষক গ্রেফতার,পুলিশের চাহিদা পুরন না করায় আদালতে প্রেরন

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার পল্লীতে আওয়ামীলীগ নেতা কালাম খা কে গ্রেফতার করতে গিয়ে নামের সাথে মিল থাকায় কালাম খাঁ নামে একজন কৃষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে পুলিশের চাহিদামত অর্থ দিতে না পারায় কৃষক কালাম খাঁকে একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আতালতে প্রেরন করা হয়েছে। কচুয়া থানা পুলিশের এহেন কর্মকান্ড নিয়ে কৃষক কালাম খার স্ত্রী খোদেজা বেগম ও তার স্বজনরা সোমবার বিকেলে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্য ও সংবাদ কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে খোদেজা বেগম বলেন, গত ৯ মে শুক্রনবার রাত আড়াইটার দিকে আমরা পরিবারসহ ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় কচুয়া থানা থেকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমাদের বসত বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা আমার স্বামীকে ঘুম থেকে ডেকে উঠায় ও আমার স্বামীকে জানায় আপনি বাধাল ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সহ- সভাপতি মোঃ কালাম খাঁ। আপনার নামে মামলা আছে থানায় যেতে হবে। এ কথা শুনে আমার স্বামী পুলিশ সদস্যদের জানায় সে কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। আমার স্বামী পুলিশদের কাছে অভিযুক্তর পিতার নাম জানতে চাইলেও তারা কোন কর্নপাত করেনি। মূলত উপজেলার বাধাল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর যিনি সহ- সভাপতি তার নাম মোঃ কালাম খাঁ ও পিতার নাম আয়ুর আলী খা। আমার স্বামীর নাম কালাম খা, নামে মিল থাকলেও আমার শ্বশুরের নাম বারেক খা। কোন প্রকার যাঁচাই ছাড়া পুলিশ আমার স্বামীকে টেনে হিছড়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলে তিনি আরো বলেন, পরেরদিন সকালে আমিসহ আমাদের পরিবারের সদস্যরা আমার স্বামীর ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে কচুয়া থানায় যাই। থানায় পুলিশ সদস্যরা আমাকে জানায় নগদ ২৫ হাজার টাকা দিলে আমার স্বামীকে ছেড়ে দিবে। অনেক কষ্ট করে কিছু স্বর্নালংকার বন্দক রেখে ১০ হাজার টাকা সুদে করে এনে পুলিশকে দিই। কিন্তু টাকা প্রদান করলেও পুলিশ কোন প্রকার যাচাই ছাড়াই সম্পূর্ন বে-আইনীভাবে আমার স্বামীকে মিথ্যা রাজনৈতীক মামলা দিয়ে চালান দেয়। আমরা ১০ হাজার টাকা প্রদান করেও উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ও মিথ্যা বানোয়াট মামলা থেকে রেহাই করতে পারিনি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আমার জোরদাবি আমার স্বামীকে এই মিথ্য মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করে, সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষিদের দৃষ্টন্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান। এ বিষয়ে কচুয়া থানার ওসি মোঃ রাশেদুল ইসলাম অর্থ গ্রহনের কথা অস্বিকার করে বলেন, যে ব্যাক্তিকে আটক করে চালান দেওয়া হয়েছে সেই বাধাল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রকৃত সহ-সভাপতি মোঃ কালাম খাঁ