বাগেরহাটে তীব্র দাবদাহে স্থবির জনজীবন : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ

আবু-হানিফ, শরণখোলা, বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ খুলনা- মোংলা মহাসড়কের বেশকিছু এলাকার সড়কের পিচ গলে যেতে দেখা গেছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ। গত কয়েকদিন ধরে চলমান এই দাবদাহে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কোনো কোনো জায়গায় সড়কের পিচও গলে যেতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বেশকিছু এলাকার পিচ গলে গেছে।
গলিত পিচ জুতা ও গাড়ির চাকায় লাগায় বিড়ম্বনায় পড়ছেন যানচালকসহ স্থানীয়রা। গরমের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘনঘন লোডশেডিং ভোগান্তি আরো বহুগুণ বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার বাগেরহাট জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪০ শতাংশ।
জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লা এলাকার মোটরসাইকেল চালক সজিব শেখ বলেন, গত তিনদিন ধরে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের করুণ অবস্থা। প্রচ- গরমে গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটির বেশকিছু এলাকার পিচ গলে গেছে। রাস্তার এ পিচ মোটরসাইকেলের চাকায় লেগে যাওয়ার পাশাপাশি গলিত পিচ জুতাও লেগে যাচ্ছে, এতে আমাদের চলাচলে খুব কষ্ট হচ্ছে।
শরণখোলা উপজেলার বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান বাপ্পি বলেন, ‘একদিকে প্রচ- গরম, তার ওপর ঘনঘন লোডশেডিং আমাদের কষ্ট আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
রাতে ২-৩ ঘণ্টা কারেন্ট থাকে না। গরমে ঘুমাতে পারি না। ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে আছি।’
একই চিত্র জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলায়ও। এ উপজেলার একাধিক বাসিন্দা জানান, দিনরাত মিলিয়ে এখানে ৩-৪ ঘণ্টা কারেন্ট থাকে না।
এতে পরিবারের বৃদ্ধ ও ছোট সদস্যদের নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ জানান, বাগেরহাটসহ খুলনা বিভাগে আরো এক থেকে দুদিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় জনসাধারণকে পর্যাপ্ত পানি পান, ছাতা ব্যবহার এবং সকাল ১০টা-বিকেল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি।