স্থানীয় সংবাদ

রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকার কৃষক ও মাছ চাষীদের গলারকাটা

# বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে #
# মুজিব কেল্লা এখন এলাকাবাসীর নিকট অভিশাপ #

খলিলুর রহমান সুমন ঃ রামপাল উপজেলা গৌরম্ভা ইউনিয়নের কাপাশডাঙ্গা কৈগরদাসকাটি গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা মাজহারুল গাজী। তার দু’ ছেলে দু’ মেয়ে। তিনি এখন দিন মজুর। তিনি বলেন, স্ব পরিবারে তিনি আগে অধিগ্রহনকৃত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতর বসবাস করতেন। তখন তিনি ১০ বিঘার মৎস্য ঘের ও ধান চাষ করতেন। তখন পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই সুখে শান্তিতে বসবাস করতেন। শুধু মাজহারুল নয়, এখানকার অধিকাংশ কর্মজীবীরা আজ অনেকটাই বেকার। জীবন বাঁচানোর তাগিদে অনেকে এলাকা ছেড়েছে। আরো কয়েকজন এলাকা ছাড়ার তালিকায় রয়েছে। মাজহারুল বলেন, সরকারের কাছ থেকে ডিসিআর কেটে তিনি এক বিঘা আট কাঠা জমির মালিকানা পেতেন। বছরের পর বছর তা নবায়ন করে তিনি বসবাস করতেন। ওই সময় জমিতে মাছ চাষ করে তা বিক্রি করে এবং ধান চাষ করে তা বছরের খোরাকি হয়ে যেত। বিগত আ’লীগ সরকার স্বপ্ন দেখিয়ে আশার বাণী শুনিয়ে অনেকটা জোর করেই তাদের আবাসস্থল (তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে) থেকে উচ্ছেদ করে। তাদের ওই সময় আশ্বাস্ত করা হয়, উচ্ছেদকৃত ভূমিহীন জনগোষ্ঠীকে দেয়া হবে ঘর। কর্মের নিশ্চয়তাসহ আরো অনেক সুযোগ সুবিধা। সেই কথা মতে, তারা সহজে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ছেড়ে দেন। পাশেই শুরু করেন অস্থায়ী ঘর করে বসবাস। কথা মত, তৎকালিন সরকার তাদের দু’ দফায় ৭০ ও ৭২টি ঘর দেয়। নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। অনেকে এই ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। কেউ কেউ যাবে বলেও আলোচনায় রয়েছে। কারণ এখানে নেই কোন আয়ের উৎস। বেকার বসে আঙ্গুল চোষা ছাড়া আর কোন কাজ নেই। এতে করে এলাকাবাসী আর্থিক অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আগে জমিতে ধান হলে তা দিয়ে জমির মালিকের সংসার ভালভাবে চলে যেত। একই সাথে যাদের জমি ছিল না তারা ধান কাটা জমিতে ধান খুটে যে ধান পেত তাতে খোরাকি হয়ে যেত। এখন নেই ধান নেই মাছ। আছে শুধু হাহাকার। আর যে মাছ (বাগদা চিংড়ি) আছে তাতে এত পরিমাণ ভাইরাস যা বিক্রি করে লাভ করা কঠিন হয়ে পড়ছে ঘের মালিকদের। কারণ এই অভিশপ্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পর এই অঞ্চলের বাগদা মাছের ঘেরে ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র হওয়ার পর সরকার বন্ধ করে দিয়েছে ডিসিআর কাটার ব্যবস্থা। এলাকায় নেই কোন চিকিৎসা কেন্দ্র। এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে চালনার ঝনঝনিয়ায় যেতে হয় চিকিৎসার জন্য। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র করার সময় উচ্ছেদকৃত জনগোষ্ঠীর সকল সমস্যা সমাধান করার জন্য আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়নে নেই কোন উদ্যোগ বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতর তাদের কাজ দেয়া হয় না। এ জন্য এখানকার মানুষ এখন অনেকটাই বেকার। যখন যা পায় সেই কাজ করে কোনভাবে জীবন যাপন করছে বলে তিনি জানান। আরেক বাসিন্দা আঃ রহমান জানান, তিনি আগে নিজের জমিতে ধান ও মাছ চাষ করে ভালভাবে সংসার পরিচালনা করতেন। কিন্তু এখন তা হচ্ছে না। লবণ পানির কারণে ধান চাষ না হলেও মাছ চাষ কোনভাবে হয়ে থাকে। অধিকাংশ মাছ চাষীদের ভাইরাসের কবলে পড়তে হয়। বদ্ধ এ লবণ পানিতে কোন কিছু চাষের জন্য উপযুক্ত নয়। আগে লবণাক্ততা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হওয়ার পর এ অঞ্চলের মাটি যে লবণে বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। কৃষি ও মৎস্য চাষীদের এখানে বেঁচে থাকা খুবই কঠিন। আগে সরকার এক বিঘা আট কাঠা জমি দিত। তা কৃষকরা সরকারের কাছ থেকে ডিসিআর কেটে নিত। তাতে সব কিছু চাষ হতো। ধান ও মাছ চাষ হতো। এ কস্টের মধ্যেও তারা এখানে বসবাস করছেন। তবে বেশী দিন এখানে বসবাস করতে পারবেন না বলে তিনি মন্তব্য করেন। জীবন বাঁচানোর তাগিদেই এখান থেকে অন্যত্র চলে যেতে হবে। ইতোমধ্যে গুচ্ছগ্রামের ১০/১২ জন বাসিন্দা জীবন জীবিকার সন্ধানে ঘর তালা দিয়ে ্এলাকা ছেড়েছে। অনেকে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র আর্শিবাদের স্বপ্ন দেখালেও এখন এলাকাবাসীর নিকট অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্র তাদের করেছে বেকার। কেড়ে নিয়েছে ধান ও মাছ চাষের অধিকার। ওই সময় বলা হয়েছিল, তাদের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকুরি দেয়া হবে। কিন্তু পরে আর দেয়া হয়নি। করা হয়েছে তাদের সাথে প্রতারণা। তিনি দু’ সন্তান আর স্ত্রীকে নিয়ে গুচ্ছগ্রামের বসবাস করেন। তার ঘরের নাম্বার ৩৩। এখানে নেই হাঁস মুরগি পালনের জায়গা। আটক জায়গায় শহরের বস্তির মত বসবাস করতে হয়। তার সুখের সংসার এখন অভাবে চলছে। তেল আনতে পানতা ফুরায়। সলিনা বেগম বলেন, তার স্বামী হালিম শেখ এখন ট্রলার চালায়। তার আশ্রয়ন প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামের ১২৪ নাম্বার ঘর। আগে ধান ও মাছ চাষ করতো। তা দিয়েই তাদের সংসার চলে যেত। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তাদের উচ্ছেদ করার পর এখন গুচ্ছগ্রামে বসবাস করলেও নেই কোন শান্তি। অভাব অনাটন আর রোগব্যাধী যেন পিছু ছাড়ছে না। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হওয়ার পর এ মাটিতে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বদ্ধ পানিতে লবণাক্ততা এমন পর্যায়ে পৌচ্ছে তাতে কোন কিছুই চাষ করা যাচ্ছে না। এখানে বসবাসের যোগ্য না। এখানে আয় করার কোন ব্যবস্থা নেই। হাঁস মুরগী পালন করা যায় না। বাইরে থেকে আয় করে এখানে আনতে হয়। এখানকার স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। শিউলী বেগম বলেন, গুচ্ছ গ্রামের নাম মুজিব কেল্লা দেয় হাসিনা। এখানে ১৪২টি ঘর আছে। খাওয়া, দাওয়া, গোসল করা, ছেলে মেয়ে মানুষ করা, থাকা সমস্যা। বাথ রুম ব্যবহার যোগ্য নয়। কাজ নেই বলে ১৮/২০টি পরিবার চলে গেছে। আগে এখানে মাছ-ধান চাষ করা হতো। এখন চার হাত পা কোলে নিয়ে বসে আছি। মাছ শাখ মেরে খেতাম। আগে বড় ঘের ছিল। তিনি নুর ইসলাম গাজীর স্ত্রী। তিনি পেশায় মাছ বিক্রেতা। মুজিব কেল্লায় বসে থাকতে হবে। এখনও ওই নাম রয়েছে। কেউ পাল্টায়নি। মুজিব কেল্লা এখন আর্শিবাদ নয় অভিশাপ। দু’শতক জায়গায় ঘর। মুরগী, গরু ছাগল কিছু পালন করা যায় না। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে থেকে উচ্ছেদ করে মুজিব কেল্লা করে পুর্নবাসন করেছে হাসিনা সরকার। এখন এখানে বাঁচার পরিবর্তে মরণের ব্যবস্থা করেছে। এখন মাছ চাষ যা হচ্ছে তা ভাইরাসে খুবই ক্ষতি হচ্ছে। ২০০৯ সালে আইলায় তারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তারপর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নতুন করে দানব হয়ে এলাকারবাসীর ক্ষতি করেছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে পানির লবণাক্ততা বেড়েছে। বদ্ধ লবণ পানির কারণে তাদের চরম ক্ষতি হচ্ছে। লবণাক্ততা বন্ধের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানান। এ জন্য এই চরের চারপাশ দিয়ে দিতে হবে উচু ভেঁড়ীবাধ। তাহলেই লবণ পানি আর ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। এতে করে এলাকাবাসী চাষাবাদ করে সুখেই থাকতে পারবে। আবুল বাশার শেখ(৫৭) জানান, তিনি ইজিবাইক চালক। পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। কাপাশডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতর জমিজমা ছিল। কৃষি ও মাছ চাষ করতেন। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাইরের লোক কাজ করে। আগে ভারতের হাজার হাজার লোক ছিল। ৫ আগস্টের পর ভারতের লোক প্রায় সব চলে গেছে। তাদের লোক এখানে কাজে নেয় না। এখানে ধান ও মাছ চাষ হতো। এখন জায়গা জমি নিয়ে গেছে তাহলে ধান ও মাছ চাষ হবে কি করে। তখন সংসার খুব ভালই চলতো। ধান যা হতো তা খেয়ে বছর চলে যেত আরো দ্যেড়ি থাকতো। আগে তার অনেক মহিষ ছিল। যা দিয়ে তার সংসার ভাল ভাবে চলতো। এখন মাছ চাষ যা হচ্ছে তা ভাইরাসে খুবই ক্ষতি হচ্ছে। এখানকার মানুষ অনেকটাই বেকার। অভাব তাদের পিছু ছাড়ছে না। কাজের সন্ধানে তারা ছুটছেন শহরে। বিষয়টি সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি। আঃ হামিদ শেখ জানান, তিনি কৈগরদাসকাটি চরের বাসিন্দা। আগে এখানে ধান ও মাছ চাষ হতো। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে লবণাক্ততা বেড়েছে। ঘেরপাতাড়ি থাকলেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বড় বড় বাধের কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ। এতে করে লবণাক্ততা বেড়েছে। এখানে ধান ও মাছ চাষ হতো। তখন কাজ করে সবার সংসার ভাল চলতো। আগে ধান ও মাছ চাষ করতো তার পরিবারের স্ত্রীসহ স্বজনরা। এখানে ৭/৮শ’ ভোটার। গৌরম্ভা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ভিতর কৈগরদাশকাটি। এখানে কোন কিছুই চাষ হয় না। বেকার জীবন যাপন করতে হচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকটা মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল বলেন, সুন্দরবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে এই রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। নাগরিক সংগঠনগুলো অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করলেও শেখ হাসিনা সরকার তখন তা আমলে নেয়নি। তাছাড়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে বসবাসকৃত জনগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করা হলেও তাদের সম্মানজনক পূর্ণবাসন করা হয়নি। দেয়া হয়নি আয়ের কোন উৎস। কাজ দেয়া হয়নি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে। পূর্নবাসনের নামে যে ঘর দিয়েছে তা বাবুই পাখির বাসার মত। সে ঘরে শুধু ঘুমানো যায়। আর কোন কিছু করা যায় না। নেই হাঁস মুরগি পালনের কোন সুবিধা। গরু ছাগল দুরে থাক। নেই মাছ চাষের সুবিধা। বিগত সরকার তাদের সাথে প্রতারণা করেছে। পূর্ণবাসনের কথা বলে উচ্ছেদ করা হলেও শুধু ঘর দিয়ে সব শেষ। কারণ তারা এখন বেকার। আগে যেখানে তারা ছিল সেখানে ছিল মাছ ও ধান চাষের সুবিধা। ছিল গৃহ পালিত পশু পাখি পালনের সুবিধা। এখন কোনটাই নেই। আছে শুধু ঘর। বাগেরহাট জেলা পরিবেশ সুরক্ষা নাগরিক কমিটির সাঃ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান লিটন বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশের বাসিন্দারা কর্ম না পেয়ে অনেকটা মানবেতর জীবন যাপন করছে। কারণ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হওয়ার আগে এই জমিতে হতো কৃষি কাজ, পতিত জলাশয়ে হতো মাছ চাষ। এখন তারা অনেকটাই বেকার। এখন তারা যখন যে কাজ পায় তাই করেই জীবন নির্বাহ করছে। পশুর নদী থেকে জোয়ারের পানিতে আসা মাছ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রর পাশের খাল থেকে ধরা নিষিদ্ধ করেছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। এতে করে খাল ও নালা থেকে মাছ ধরতে পারছে না চারপাশের দরিদ্র বাসিন্দারা। বিশেষ করে গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা। রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, ২০১০ সালের পূর্বে রামপাল উপজেলায় আবাদযোগ্য জমি ছিল ২০ হাজার ৫শ’ হেক্টর। তারমধ্যে আবাদী জমি ছিল ৭২৯৮ হেক্টর ও পতিত জমি ছিল ৮ হাজার ১৫ হেক্টর। ২০২৫ সালে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৯ হাজার ৫শ’ হেক্টর। তার মধ্যে আবাদী জমি ১০ হাজার ৮৮৬ হেক্টর এবং পতিত জমি ৫ হাজার ৩৮০ হেক্টর। ১৫ বছর ব্যবধানে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে এক হাজার হেক্টর। তবে এ সময় আবাদী জমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৮৮ হেক্টর। তবে এ সময় পতিত জমির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২৬৩৫ হেক্টর। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জায়গায় পূর্বে মাছের ঘের, পতিত খড়ের বন ও স্থায়ী পতিত জমি ছিল। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হওয়ায় কৃষিতে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, এখানে আগে মাছ চাষ হতো তবে ধান চাষ হতো না। তবে এখন মাছের ঘেরে সবজি চাষ হয়। রামপাল উপজেলা মেরিন ফিশারীজ অফিসার মোঃ হেলাল উদ্দীন বলেন, রামপালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবার আগে ১৯১৪০.৩০ হেক্টর জমিতে মাছ চাষ করা হতো। তখন উৎপাদন হতো ১০৪৫৫.৪০ মেট্রিক টন মাছ। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবার পর ১৭৭৭৫.৬১ হেক্টও জমিতে এখন মাছ চাষ হচ্ছে। এর বিপরিতে মাছ উৎপাদন হয় ১৫৩৬৭.১০ মেট্রিক টন। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হওয়ার পর মাছ চাষের জমি কমেছে ১৩৬৫ হেক্টর। এ সময় উৎপাদন বাড়ছে ৪৯১২ মেট্রিকটন। উৎপাদন বাড়ার কারণ হচ্ছে উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে ক্লাস্টার ভিত্তিক মাছ চাষ। ঘেরের অবকাঠামোগত উন্নায়ন। যেমন পাড় বা ভেড়ি মজবুত ও প্রসস্তকরণ, তলা সমান করা, ঘেরের গভীরতা বৃদ্ধি করা, চুন, ব্লিচিং, প্রিবায়োটক, প্রোবায়োটিক, উন্নত মানের খাবার প্রয়োগসহ মৎস্য অফিস কর্তৃক চাষিদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা বলে তিনি মনে করেন। আগে ও এখন একই রকমের মাছের চাষ হচ্ছে। চাষকৃত মাছের মধ্যে রয়েছে, বাগদা, গলদা, হরিনা, চাকা, টাইগার, ফাইসসা, করাল, রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাঙ্গাস চায়না পুটি ইত্যাদি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button