স্থানীয় সংবাদ

কুয়েটের আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধঃ বিকল্প নির্দেশনা চেয়ে রেজিস্ট্রারের চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশের অন্যতম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে। আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে প্রায় দু সপ্তাহ ধরে। ১২ দিন যাবত অভিভাবকবিহীন কুয়েট। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অচলাবস্থা নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগও দৃশ্যমান নয়। ঈদুল আযহার বাকি মাত্র এক সপ্তাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১’শ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন ভাতা বন্ধ। অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ঈদুল আযহার উৎসব ভাতা প্রাপ্তির। বেতন ভাতা না পেয়ে পাঁচ শতাধিক কর্মচারী দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে। বিপাকে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভিসি’র পদত্যাগে চাপ বেড়েছে রেজিস্টার প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ভূঁইয়ার। এহেন সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনার আবেদন জানিয়ে ২৯ মে তিনি চ্যান্সেলর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন। এর আগে গত ২৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ও অতি দ্রুত শিক্ষা সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকবৃন্দ (ডীন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক, প্রভোস্ট, অন্যান্য পরিচালকগণ ও চেয়ারম্যানবৃন্দ) ‘র পক্ষে সায়েন্স এন্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের ডীন প্রফেসর ড.আবুল কালাম আজাদ শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর চিঠি প্রদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সচিব বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে উল্লেখ করেন, অন্তবর্তীকালীন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মোঃ হযরত আলী দাপ্তরিক প্রয়োজনে ১৯ মে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। এরপর ২২ মে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে খুদে বার্তায় জানান যে, তিনি ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। বর্তমানে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় কোন ভিসি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম, প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের মাসিক বেতন- ভাতাদিসহ যাবতীয় আর্থিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মে মাসের বেতন-ভাতাসহ আসন্ন ঈদুল আযহার উৎসব ভাতা প্রদানে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনিক নির্দেশনা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি বিনীত অনুরোধ জানান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button