সত্যিকার ইসলামী আন্দোলনের জন্য আরও একটি বিপ্লব করতে হবে : অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

# ১৪ নং ওয়ার্ড ও ইউনিট জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি সমাবেশ #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলন ঈমানের অপরিহার্য অংশ। ৫ আগস্ট যে বিপ্লব হয়েছে সেখানে জুলুম থেকে মানুষ কিছুটা বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু সত্যিকার ইসলামী আন্দোলনের জন্য আরও একটি বিপ্লব করতে হবে। তিনি বলেন, ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া মানব রচিত আইন দিয়ে জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা কেউ দিতে পারবে না। তাই বিভাজন সৃষ্টি না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদ উৎখাত হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদীদের দোসররা এখনো নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। শনিবার (৩১ মে) বিকেলে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন রায়ের মহলস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে ১৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ওয়ার্ড ও ইউনিট প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
ওয়ার্ড আমীর মনতাজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও শরিফুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি ও মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খলিশপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন। অন্যান্যের মধ্যে জামায়াত নেতা বিএল কলেজের ভিপি এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, সিদ্দিক হেলাল, শওকাত হোসেন, মইনুল হক, বদরুদ্দোজা আল মামুন, মেহদী হাসান, ইকবাল হোসেন, হুমায়ুন কবির হিমু, হাফেজ আব্দুল্লাহ, ইমরান হোসেন, নাজিম উদ্দিন সোহাগ, আব্দুর রাজ্জাক, আমিনুল ইসলাম রূপম, কুতুবুদ্দিন রব্বানী, মজিবুর রহমান, শ্রমিক নেতা আব্দুর রহমান, হাবিবুর রহমান, এফতেখার, আমিরুল ইসলাম, ছাত্রশিবির নেতা ইমরান হোসেন, নোমান শেখ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মহানগরী আমীর আরও বলেন, মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে আমাদের সকলের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ জন্য কুরআন হাদিস সহ ইসলামের জ্ঞান অর্জনের জন্য ব্যাপক পড়াশোনা করা ও রাতে ইবাদত মাশগুল থাকা। সমাজের মানুষের মুক্তির জন্য দাওয়াতী কাজ করতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা। তিনি বলেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য ইউনিট প্রতিদিনিধিদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করা। সমাজের প্রতিটি অলিতে গলিতে আপনাদের পদচারনা থাকবে। তিনি আগামী দিনের একটি ইসলামী ও সুন্দর একটি সমাজ কায়েমের জন্য ইউনিট সভাপতিদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিশেষ অতিথি আজিজুল ইসলাম ফারাজী বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। ১৯৫২ সালে আমরা মাতৃভাষা বাংলা ভাষা করার জন্য আন্দোলন করেছিলাম। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। তখন শুধু আমরা একটি ভূখন্ড পেয়েছিলাম। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতা পাইনি। আবারও আমাদের নিরাপরাধ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে ২০২৪ এর ৫ আগস্ট আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা পেয়েছি সুতরাং এই স্বাধীনতা ও তার ফসল আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে। দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের দিকে চেয়ে আছে। এ জন্য মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে যেতে হবে। তিনি ওয়ার্ড ও ইউনিট প্রতিনিধিদের আল্লাহর নির্দেশ ও তাঁর রাসূল (সা,) এর আদর্শ অনুকরণের মাধ্যমে যথাযথভাবে দায়িত্বশীলদের প্রতি আনুগত্য রেখে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।