ঘরের দরজায় কুরবানীর ঈদ কড়া নাড়ছে গরু ছাগলের হাট তেমন জমেনি যশোরে

# পশু কাটাকাটিতে পারদর্শীদের চাহিদা মেটাতে ইচ্ছা পোষনকারী ব্যক্তিরা দিশেহারা #
মোঃ মোকাদ্দেছুর রহমান রকি যশোর থেকে ঃ আসন্ন ঈদুল আজহা (কুরবানী ঈদ) উপলক্ষ্যে গরুর ছাগলের হাট বিগতের বছরের তুলানায় তেমন একটা জমে উঠেনি। তবে গরু ছাগল ক্রেতাগন কুরবানীর দিন জবাইয়ের পর কাটাকাটি কাজে পারদর্শীদের স্মরনাপন্ন হয়ে তাদের চাহিদা শুনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এবার লাখ টাকা গরু কাটাকাটির কাজে পারদর্শীরা দাবি করেছেন ১০ হাজার টাকা। আবার কম পারদর্শীরা গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭০ টাকা হারে তাদের পারিশ্রমিক দাবি করেছেন। সব মিলিয়ে এবার কসাইয়ের চাহিদা মেটাতে কোরবানি দিতে আগ্রহী ( অংশগ্রহনকারী ) ব্যক্তিরা রীতিমত অবাক হয়ে পড়েছেন। কসাইরা এক ঈদুল আজহার দিন উপার্জিত অর্থ পরিবার পরিজন নিয়ে পুরো মাস চালানোর কথা জানিয়েছেন। গরু ছাগল কাটাকাটি কাজে পারদর্শীদের চাহিদা নিয়ে যশোরে রীতিমত অনেকের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে,আর দুই দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা (কুরবানীর ঈদ) ঈদকে সামনে রেখে যশোর সদর উপজেলাসহ জেলার ৮টি উপজেলার বিভিন্ন গরু ছাগলের হাট অন্যান্য বছুরের তুলনায় তেমন একটা জমে উঠেনি। যেখানে হাট বসেছে সেখানে তেমন একটা ক্রেতা মিলছেনা। ক্রেতা কম গরু ছাগলের হাটে বিক্রেতা তাদের আশা এখন নিরাশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে গরু ছাগলের হাট তেমন একটা জমে উঠেনি। অন্যদিকে গরু ছাগল কুরবানী দিতে ইচ্ছা পোষনকারী ব্যক্তিরা কাটাকাটির কাজে পারদর্শীদের কাছে গিয়ে হতবাক হয়ে পড়ছেন। ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ছাগল কাটাকাটি করতে তারা দাবি করছেন ১৫ শ’ টাকা। ১লাখ টাকা মূল্যের একটি গরু কাটাকাটি করতে দাবি করা হচ্ছে ১০ হাজার টাকার অধিক। এই কাজে কম পারদর্শী বছরে একবার কাটাকাটি করতে আগ্রহী বিভিন্ন পেশার খেটে খাওয়া মানুষ গরুর কেজি প্রতি ৭০ টাকা হারে দাবি করছেন। ছাগলের ক্ষেত্রে নূন্যতম ১ হাজার টাকা দাবি করছেন। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, যশোর জেলায় সাত মাইলসহ বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে গড়ে গরু ছাগলের হাটে বিক্রেতারা দাম হাকিয়ে বসে আছে। ক্রেতার সংখ্যা কম হলেও বিক্রেতাদের দাম শুনে ক্রেতারা হাটে ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে গরু ছাগল কিনতে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি বাড়ি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আবার অনেকে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর নিয়ে গরু ছাগলের মালিকের বাড়ির গোয়াল ঘর ও খামারে যাচ্ছে। তুলনা মূলকভাবে গরু ছাগল পর্যাপ্ত থাকলেও দাম চড়া হওয়ায় তেমন একটা বিক্রি হচ্ছেনা। আর মাত্র ২ দিন পর ঈদুল আজহা ( কুরবানীর ঈদ) । গত বছরে ঈদুল আজহার দিন থেকে ১৫ দিন আবার অনেক স্থানে ২৫ দিন আগে গরু ছাগলের হাট বসেছে। এবারের চিত্র সম্পূর্ন উল্টো। ঈদুল আজহা ঘরের কড়া নাড়ছে তবে গরু ছাগলের হাট তেমন একটা জমেনি। সূত্রগুলো জানিয়েছেন,দাম চড়া হওয়ায় বিক্রি না হওয়ায় অনেক গরু ও ছাগলের ব্যবসায়ীরা তাদের গরু ও ছাগল পরিবহন যোগে যশোর থেকে ঢাকা চট্রগ্রামের হাটে নিয়ে যাচ্ছে। যশোর প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে প্রতিবছর জানান দেয় চাহিদার তুলনায় প্রচুর পরিমানে গরু ছাগল রয়েছে। তবে হাটে যেয়ে ক্রেতা সাধারণ বিক্রেতাদের হাক দাম শুনে হতবাক হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।