স্থানীয় সংবাদ

জমে উঠেছে ঈদ বাজার : শেষ মুহুর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা

# ব্যবসায়ীরা বলছেন : নতুন পোশাক সরবরাহ থাকলেও ক্রেতার দেখা কম #

মো. আশিকুর রহমান : ঈদুল আযহা আসন্ন। আগামী শনিবার (১ জুন) সারাদেশের ন্যায় খুলনায়ও যথাযোগ্য মর্যদা ও ধর্মীয় ভাবগার্ম্ভীযের সাথে উদ্যাপিত হবে মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল আযহা। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে খুলনা আধুনিক মার্কেট, শপিংমল, বিপনীবিতান গুলোতে নতুন নতুন পোশাক সরবরাহ করেছে ব্যবসায়ীরা। তবে পোশাকের যথেষ্ট সরবরাহ থাকলেও ক্রেতার দেখা কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, টুকটাক কেনাবেচা হলেও এখনো জমজমাট কেনাবেচা শুরু হয়নি। ঈদুর ফিতর বা রোজার ঈদে কেনাবেচার যে পরিমান কেনাবেচার চাপ থাকে, কোরবানী ঈদে তেমনটি কেনাবেচার চাপ হয় না। যা কেনাবেচা হয় ঈদের ১/২ আগে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরে দুই ঈদ, হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ উৎসব দূর্গা পূজাতে ভালো কেনাবেচা হয়ে থাকে। এছাড়া সারা বছর ধরতে গেলে ঝিঁমিয়ে ঝিঁমিয়ে সময় কাটাতে হয়। সাধারনত কোরবানী ঈদে রোজার ঈদের অর্ধেক পরিমানও কেনাবেচা হয় না। কারণ রোজার ঈদে প্রায় প্রতিটি পরিবারের লোকজন কেনাকাটা করে, কিন্তু কোরবানী ঈদে তেমনটি কেনাকাটা করেন না, কারণ অনেকেই কোরবানী করে থাকেন। তারপরও ঈদের কাংক্ষিত কেনাবেচার উদ্দেশ্যে দিন গুনছেন তারা। বুধবার (৪ জুন) নগরীর বিভিন্ন আধুনিক মার্কেট, শপিংমল, বিপনীবিতান ঘুরে দেখা গেছে আধুনিক শপিংমল, মার্কেট ও আধুনিক বিপণীগুলোতে বাহারী পোশাক দৃশ্যমান হলেও নেই কাংক্ষিত ক্রেতা। দু’চার জন আসছেন টুকটাক কেনা কাটা করে ঘরে ফিরছেন। নেই তেমন কেনাবেচার চাপ।
আশা বস্ত্রালয়ের মালিক নির্মল সাহা জানান, আসন্ন ঈদের কেনাবেচার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বসে আছি, তবে ক্রেতা সাড়া তেমন নেই। প্রতি বছরই রোজার ঈদের তুলনায় কোরবানী ঈদে কম কেনাবেচা হয়। আসন্ন ঈদের জন্য ইতিমধ্যে মোকাম হতে নতুন নতুন শাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে, তবে নতুন পোশাকের তেমন সংযোজন নেই।
নগরীর জে.কে ফ্যাশনের বিক্রেতা কবির জানান, ঈদ উৎসবে তরুনদের বেশি পছন্দ পাঞ্জাবী। যার মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান ব্রাশু, গুটি ও টিস্যুৎ, চাহিদার শীর্ষে থাকে কাবলিও পাশাপাশি গের্ঞ্জি, শার্ট-প্যান্টও। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বাচ্চাদের নতুন পোশাকের পাশাপাশি সব বয়সীদের পোশাক সরবরাহ করা হয়েছে। তবে তেমন ক্রেতা নেই। আশা করি ঈদের ১/২দিন আগে কিছুটা কেনাবেচা বাড়বে।
ওয়েলকাম সু-বাজারের মালিক শরীফ মোড়ল বলেন, ঈদুল আযহা আসন্ন, ঈদকে ঘিরে কেনাবেচার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করেছি হরেক ডিজাইনের জুতা-সেন্ডেল। মহিলাদের জন্য সু, সেন্ডেল, পেন্সিল সু, নাগড়া, চায়না সেন্ডেল। পুরুষদের দুই ফিতা সেন্ডেল, সাইকেল সু, লুফার। বাচ্চাদের চায়না, থাই, কেস, সু-সেন্ডেল সরবরাহ করা হয়েছে। মার্কেটে ক্রেতার চাপ নেই, মোটামুটি কেনাবেচা চলছে। আশাকরি ঈদের এক দিন আগে ভালো কেনাবেচা হবে। দৌলতপুর বাজার বণিক সমিতির সহ-সাঃ সম্পাদক ও কসমেটিক্স ব্যবসায়ী পলাশ জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে চুড়ি, কাঁকড়া, আইলিনার, মাসকারা, কানের দুলসহ বিভিন্ন কস্মেটিক্স সরবরাহ করেছি। বাজারে কাস্টমার নাই, মনে হচ্ছে না এটা ঈদ বাজার। তবে আশা করি ঈদের আগের দিন কেনাবেচা বাড়বে।
ঈদ বাজারে আসা ক্রেতা তানিয়া রহমান জানান, রোজার ঈদে বাচ্চাদের দু’তিন সেট করে পোশাক কিনে দিয়েছে। এবারও বাচ্চারা বায়না ধরে নতুন পোশাক কিনে দিতে হবে। তাই অল্প বাজেটের মধ্যে কেনাকাটার জন্য মার্কেটে এলাম।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button