খুলনায় ভোক্তা-অধিকারের কঠোর অভিযান

# ১৩ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা জরিমানা #
# জনস্বার্থে অভিযান চলমান রাখার আশ^াস সংশ্লিষ্টদের #
স্টাফ রিপোর্টার : খুলনার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রন রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় ও খুলনা বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন জেলা কার্যালয় সমূহ নিয়মিত বাজার তদারকিসহ অভিযান অব্যহত রয়েছে। ওই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৪ জুন) ভোক্তা অধিকারের ৭ টিম তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। এসময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসমূহের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয় এবং সকল ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়। তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দেওয়া হয়। অভিযান চলাকালে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বাজার তদারকি পাশাপাশি ও জরিমানা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার মজিদ স্মরনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সজীব স্টোরকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে ৫ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিবের নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর হাউজিং বাজার, চিত্রালী বাজার ও বিআইডিসি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিফাত ভ্যারাইটি স্টোরকে যথাযথ পন্য সরবরাহ না করার অপরাধে ৩ হাজার টাকা এবং ভাই ভাই ঘোষ ডেয়ারিকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য দ্রব্যে উৎপাদন করার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ সজল আহম্মেদের নেতৃত্বে মুহাম্মাদপুর উপজেলার নহাটা বাজার ও রাজাপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে যথাযথ পন্য সরবরাহ না করার অপরাধে মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার ও যথাযথ পন্য সরবরাহ না করা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে মেসার্স মোল্লা ফার্মেসি কে ৩০ হাজার টাকা ও পেসার সোনার বাংলা ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ মাসুম আলীর নেতৃত্বে ভেড়ামারা উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে শ্যামলী এন.আর ট্রাভেলসকে সেবার মুল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৪ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়
যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার রেলরোড বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে রুপসা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টেকে ৩ হাজার টাকা ও আল আমিন হোটেলকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান তানভীরের নেতৃত্বে সদর উপজেলার মথুরাপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে কবির ড্রাগস হাউজকে ৩ হাজার টাকা ও নাজমুল স্টোরকে ১ হাজার টাকা এবং পন্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে হাসিব স্টোরকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানার নেতৃত্বে সদর উপজেলার রেলরোড বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিউ দেশের ডাক ফাস্টফুডকে খাদ্য দ্রব্যে নিষিদ্ধ পণ্যের মিশ্রণ করার অপরাধে ৪ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেন সংশ্লিষ্টরা অভিযানে ১৩ টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় । জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মাদ সেলিম জানান, খুলনার বাজারে আমাদের নিয়মিত তদারকিসহ অভিযান অব্যহত আছে। ভোক্তার অধিকার লঙ্ঘিত করলে ওই ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হিসাবে জরিমানা আরোপসহ আদায় করা হচ্ছে। খুলনার বাজার সমূহে কোনো ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান সরকার প্রদত্ত নিয়মনীতির বাইরে ব্যবসা পরিচালনা করলে তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। জনস্বার্থে আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।