স্থানীয় সংবাদ

ভারতে যাওয়ার সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাঃ সম্পাদক আজম আটক

বেনাপোল প্রতিনিধি : ভারতে যাওয়ার সময় গোপালগঞ্জ জেলার আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহাবুদ্দিন আজম কে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ১১ টার সময় তাকে আটক করা হয়।
তার পাসর্পোট নম্বর-ই০০০৭৩৯৪৮), পিতাঃ মৃতঃ মইনদ্দিন গ্রামঃ বিনাপানি গার্স স্কুল রোড পোস্টঃ গোপালগঞ্জ সদর থানাঃ+জেলাঃ গোপালগঞ্জ। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসেন মুন্সি জানান, গোপন সূত্রে জানা যায় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহাবুদ্দিন আজম ভারতে যেতে পারে। সেই মোতাবেক বহির্গমন বিভাগের সকল অফিসারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সকাল ১১ টার দিকে তার পাসপোর্টটি ডেস্ক এ জমা দিলে যাচাই-বাছাই করে তাকে আটক করা হয়।
তার নামে ঢাকা যাত্রাবাড়ি ও গোপালগঞ্জ সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

দিঘলিয়ার বারাকপুর ভৈরব নদের খেয়াঘাটে ট্রলারের মাঝিদের হামলায় দুই যাত্রী গুরুতর আহত
দিঘলিয়া প্রতিনিধি ঃ খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর বাজার সংলগ্ন ভৈরব নদের খেয়াঘাটে ট্রলারে বেশী যাত্রী উঠানো নিয়ে পারাপার যাত্রীদের সাথে মাঝিদের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হামলায় দুই পারাপার যাত্রী গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহতদের দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (৯ জুন) দুপুর পৌণে ২ টার সময় দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর বাজার সংলগ্ন ভৈরব নদের খেয়াঘাটে খেয়া নৌকার মাঝি বাবর আলীর পুত্র রাজু আহমেদ (২৫) ও তার ছোট ভাই সোহেলসহ ১০-১২ জন খেয়া নৌকার লোক খেয়া পার যাত্রী দিঘলিয়া উপজেলার লাখোহাটি গ্রামের বাবুল শেখের পুত্র আরিফ হোসেন (২০) ও আলী আকবর মলি¬কের পুত্র আব্দুল আলীম (২১)কে মারপীট করে মাথা ফাটাসহ রক্তাক্ত জখম করে। লোকজন তাদের উদ্ধার করে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করে। প্রত্যাক্ষদর্শী ও ভিকটিম সূত্রে জানা যায়, খেয়া নৌকা পারাপারের সময় ১২ জন যাত্রী হলে নৌকা ছাড়ার নিয়ম ও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে। ঘটনার সময় দুপুরের প্রচন্ড রোদের মধ্যে খেয়া নৌকায় দাঁড়ানো লোকজন নৌকার মাঝি রাজু আহমেদকে বলে যে ১২ জন লোকতো হয়েছে, নৌকা ছাড়েন। নৌকার মাঝি রাজু জানায় যে ৩০ জন লোক না হলে নৌকা ছাড়বো না। পরবর্তীতে খেয়া যাত্রী ও মাঝিদের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নৌকার মাঝি রাজু আহমেদ ভিকটিমদের নৌকার ইঞ্জিন স্টার্ট দেওয়ার লোহার হ্যান্ডেল দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে তাদের মাথা ফাটাসহ রক্তাক্ত জখম হয়। তখন মাঝির পক্ষে ১০/১২ জন লোক ভিকটিমদের আক্রমণে অংশ নেয় বলে জানা যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দিঘলিয়া থানায় কোনো পক্ষ মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেনি। দিঘলিয়া থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button