স্থানীয় সংবাদ

খুলনা বিভাগে কোরবানির ৩ লাখ ২৭ হাজার পিস কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে এ বছর পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় প্রায় ৩ লাখ ২৭ হাজার কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেছেন। শনিবার ঈদের দিন থেকে সোমবার পর্যন্ত খুলনা বিভাগের মাদ্রাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং এবং ব্যক্তিদের কাছ থেকে এসব কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহিত কাঁচা চামড়াগুলো বর্তমানে ট্যানারি ও ডিপোসহ বিভিন্ন স্থানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ খুলনা বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার মাদ্রাসা, এতিমখানা এবং লিল্লাহ বোর্ডিং থেকে ঈদ-উল-আজহায় কোরবানির পশুর মোট ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৪টি গরু, মহিষ এবং ছাগলের চামড়া সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করা হয়েছে। সংগৃহীত চামড়ার মধ্যে ১ লাখ ১৯ হাজার ১১২টি গরু ও মহিষের চামড়া এবং ২ লাখ ৭ হাজার ৬৮২টি ছাগল, ভেড়া এবং অন্যান্য কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে।
সংগৃহীত কাঁচা চামড়ার মধ্যে খুলনা জেলায় ২২ হাজার ৭৪২টি, যশোর জেলায় ৭৫ হাজার ১৮৫টি, ঝিনাইদহ জেলায় ৯৩ হাজার ৭৩৬টি, কুষ্টিয়া জেলায় ৩৬ হাজার ৭৩৭টি, নড়াইল জেলায় ৩০ হাজার ৭১৫টি, সাতক্ষীরা জেলায় ২৩ হাজার ৩১৩টি, মেহেরপুর জেলায় ১৮ হাজার ৮৫টি, বাগেরহাট জেলায় ১৩ হাজার ৫৭টি, মাগুরা জেলায় ৭ হাজার ১৫২টি এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৬ হাজার ৭২টি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সরকার কর্তৃক সরবরাহ করা বিনামূল্যে লবণ ব্যবহার করে এই সমস্ত চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছ। স্থানীয় পর্যায়ে ২ থেকে ৩ মাস ধরে কোরবানির চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণের জন্য সরকার এবার সারা দেশে ৭ লাখ ৫০ হাজার মণ লবণমুক্ত বিতরণ করেছে। এদিকে, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন সোমবার বলেছেন যে, গত ১৫ বছরে দেশের চামড়া খাতে ব্যাপক অরাজকতা বিরাজ করছে, যার ফলে এই খাতে ব্যাপক পতন ঘটেছে। “কিন্তু, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বছরের পর বছর ধরে বেড়ে ওঠা এই সেক্টরে সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলার জন্য কাজ করছে,” দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম কাঁচা চামড়া ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত যশোরের রাজারহাটে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বশির উদ্দিন বলেন, কাঁচা চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করে এতিমখানা ও মাদ্রাসার অধিকার রক্ষাকে প্রাথমিকভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কাঁচা চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে, সরকার কাঁচা চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণের জন্য প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার মণ লবণ সরবরাহ করেছে এবং পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আগে ট্যানারি মালিকদের মধ্যে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২২০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button