কেশবপুরে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীর জমি কেটে নালা বানালেন বিএনপি নেতা

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : কেশবপুর পৌর শহরের মধ্যকুল এলাকায় চাঁদা না দেয়ায় এক ব্যবসায়ীর জমির মধ্যখান থেকে কেটে নালা বানিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এঘটনায় সেনাবাহিনী ক্যাম্পসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা এলাকার আনছার আলী মোড়লের ছেলে জাকির হোসেন শিমুল ও তার ভাই মোশাররফ হোসেন কেশবপুর বড় কাঁচা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে স্টেশনারী ও কসমেটিক্সের ব্যবসা করছেন । সেই সুবাদে ২০২২ সালে কেশবপুর উপজেলার ৭৫নং মধ্যকুল মৌজার ৩৪৩০ ও ৩৪৩১ দাগে ১৪ শতক জমি শিমুল ও তার ভাই মো. মোশাররফ হোসেন, বোন মোছা: শিরিনা খাতুন ও ভগ্নীপতি মো. রবিউল ইসলামের নামে ক্রয় করে । যার জমির সম্মুখে একটি পানি সরানোর কালভার্ট ছিলো। ভবন নির্মাণের জন্য গত রোজার মাসে ওই জমিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী বাঁধা দেয়। তাদের দাবি পানি সরানোর জন্য কালভার্টের সঙ্গে সংযুক্ত ড্রেন তৈরি করে তারপর মাটি ভরাট করতে হবে। সে এলাকাবাসীর দাবি মেনেই পানি সরানোর জন্য ড্রেন তৈরি করেই মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করে। কোরবানির ঈদের আগে ওই জমিতে ভবন নির্মাণ করতে গেলে পৌরসভার মধ্যকুল ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম ওরফে নজোকালা কাজ বন্ধ করে দিয়ে ঈদের খরচ লাগবে বলে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে । চাঁদা না দেওয়ার গত ০৪. জুন মধ্যকুল ওয়ার্ডের বিএনপির সদস্য চাঁদাবাজ নজরুল ইসলাম ওরফে নজোকালাসহ তার সঙ্গীয় লোকেরা বিএনপির ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে এক্সেভেটর দিয়ে জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে তাদের উক্ত জমির মাঝখান দিয়ে পানি সরানোর জন্য নালা (ড্রেন) তৈরি করে দিয়েছে। খবর পেয়ে জমিতে উপস্থিত হয়ে বাঁধা দিলে চাঁদাবাজ নজরুল ইসলাম ওরফে নজোকালা শিমুলকে জীবননাশের হুমকী দেয়। ওই সময় তার সঙ্গীয়রা আরো বলে ‘চাঁদা না দিয়ে তুই এই জমিতে কিভাবে ভবন নির্মাণ করিস, তা আমরা দেখে নেবো’। আমরা এখানকার স্থানীয় আমাদের চাঁদা দিয়েই তুই পরবর্তী কাজ করবি। তুই তো বহিরাগত। চাঁদাবাজদের হুমকীতে শিমুল ও তার পরিবার বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে কেশবপুর সেনাবাহিনীর ক্যাম্পসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ০৫ জুন লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম ওরফে নজোকালা বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।